শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > টিকিটের জন্য অপেক্ষা

টিকিটের জন্য অপেক্ষা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
কমলাপুর স্টেশন থেকে: কেউ এসেছেন আগের দিন বিকেলে আবার কেউ সন্ধ্যায়। ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মিলছে ট্রেনের টিকিট।

বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কমলাপুর স্টেশনে দেখা গেছে, টিকিটের জন্য মানুষের বাঁধভাঙা স্রোত। টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইনগুলো গত দু’দিনের তুলনায় হয়ে উঠেছে দীর্ঘ।

কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গল ও বুধবারের তুলনায় আজ একটু চাপ বেশি তবে কষ্ট হলেও যাত্রীরা টিকিট পাবেন। পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বরের টিকিট। গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। এদিন বিক্রি হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বরের টিকিট।

ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও সিলেটেও একযোগে রেলের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

কমলাপুর স্টেশন সূত্র জানায়, ১৭ সেপ্টেম্বর বিক্রি হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বরের এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৩ সেপ্টেম্বরের এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ২৪ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।

একইভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে পাওয়া যাবে ফিরতি টিকিট। এদিন বিক্রি হবে ২৭ সেপ্টেম্বরের টিকিট। ২৪ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের, ২৫ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ২৯ সেপ্টেম্বরের, ২৬ সেপ্টেম্বর ৩০ সেপ্টেম্বরের টিকিট এবং ২৭ সেপ্টেম্বর বিক্রি হবে ১ অক্টোবরের টিকিট।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঈদুল আযহার অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে। একজন যাত্রী ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। ঈদের সময় বিক্রিত টিকিট ফেরত দেওয়া হবে না।

জানা গেছে, বর্তমানে রেলের মোট ৮৮৬টি কোচ রয়েছে। ঈদ উপলক্ষে ১৩৮টি কোচ ঈদের আগেই ট্রেনের বহরে যুক্ত হবে। ১৯৯টি ইঞ্জিন চালু রয়েছে, ঈদ সামনে রেখে মেরামতকৃত আরও ২৫টি ইঞ্জিন বহরে যুক্ত হবে।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতিদিন সারাদেশে এক লাখ ৮০ হাজার টিকিট ইস্যু করা হয়। ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত চাপ মোকাবেলায় প্রতিদিন সব ট্রেন মিলিয়ে দুই লাখ ৫০ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এই ট্রেনগুলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা খুলনা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ঈদের আগে তিন দিন এবং ঈদের পরে সাতদিন চলবে।

এছাড়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া রুটে ঈদের দিন দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেছেন, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়রোধে তারা সতর্ক রয়েছেন। যাত্রী নিরপাত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৠাব, পুলিশ, বিজিবি ছাড়াও রেলওয়ের দুটি নিরাপত্তা বাহিনী যাত্রীদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। যেখানেই যাত্রী হয়রানি, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা দেখা যাবে সেখানেই যাত্রীদের নিরাপত্তায় সক্রিয় হবে এসব নিরাপত্তা বাহিনী। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম