স্টাফ রিপোর্টার ॥
পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে।
ফলে বেড়েছে মূল্য সূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার।
মঙ্গলবার দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অপর দুটি সূচকও। ডিএসই-৩০ সূচক দুই ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮৪টি বা ৫৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ৯৫টির বা ২৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি বা ১৫ শতাংশের দাম।
ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৯৬ কোটি ১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এসপিসিএলের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৭ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- এমজেএল বাংলাদেশ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ইফাদ অটোস, রতনপুর রি-রোলিং মিলস, রিজেন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো ফার্মা এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, আজ সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯টির। দাম কমেছে ৬৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম।