শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গগামী মানুষ

টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গগামী মানুষ

শেয়ার করুন


কালিয়াকৈর প্রতিনিধি
গাজীপুর: গেলো বৃহস্পতিবার সরকারি অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার পর শুক্রবার ছিল ”ঈদুল আযহা” উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সড়ক মহাসড়কে বরাবরের মতোই দেখা গেছে তীব্র ও অসহনীয় যানজট এবং পরিবহন সংকট।
গাজীপুরের শেষ সীমানা কালিয়াকৈর পেরিয়ে মির্জাপুরের ক্যাডেট কলেজ এলাকা হতে উত্তরবঙ্গে যাবার এই প্রধান সড়কে শনিবার তেমন কোন যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। গাজীপুরের সফিপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর এবং চন্দ্রা থেকে ঢাকাগামী বাড়ইপাড়া পর্যন্ত দেখা গেছে তীব্র যানজট। শনিবার মহাসড়কে যানবাহনের তেমন চাপ চোখে পড়েনি। যানবাহনের গতি ছিল অনেকটা স্বাভাবিক তবে যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। যারা যানবাহনে উঠে বসতে পেরেছেন তারা দ্রুতগতিতে স্বাচ্ছন্দে গন্তব্যে পৌঁছতে পেরেছেন। অনেকেই বাসে উঠতে না পেরে পরিবার— পরিজন নিয়ে ট্রাক, পিকআপ ও সিএনজি সহ বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে পাড়ি জমাচ্ছেন। ঢাকা—টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈরে বংশায় ব্রীজ এলাকায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করেছেন কালিয়াকৈর থানার পুলিশের উপ—পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার অপেক্ষাকৃত (আজ) শনিবার সড়কে যানবাহন তুলনামূলকভাবে কম এবং যানবাহনের গতি ও স্বাভাবিক রয়েছে। অপরদিকে গাজীপুর থেকে উত্তরবঙ্গ এবং সাভার আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার প্রধান ট্রাঞ্জিট পয়েন্ট চন্দ্রায় গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।এখানে ঢাকা এবং গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লা এবং স্বল্প পাল্লার যানবাহনগুলো চন্দ্রাতে এসে চালক গন বেশি—যাত্রীর আশায় ইচ্ছাকৃতভাবে যানবাহনের গতি স্লথ করে দেন এবং স্টেশন হতে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত বাস, পিকআপ এবং ট্রাক গুলো যাত্রী উঠানোর জন্যে সড়কে আইন, শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে এবং তাদের নির্দেশনা অনেকটা অমান্য করেই যাত্রী উঠানোর চিত্র দেখা গেছে, ফলে চন্দ্রা স্টেশন কেন্দ্রীক যানজট লেগেই থাকে। কখনো কখনো তা তীব্র আকার ধারণ করে। চন্দ্রা এলাকার যানজটের পরিস্থিতি জানতে নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চন্দ্রা এলাকায় হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ অপেক্ষা করছেন যানবাহনের জন্য, অন্যান্য দিনের চাইতে শনিবার যানবাহনের সংখ্যা খুবই কম যে কারণে চন্দ্রার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে যে টুক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে এটা তুলনামূলক ভাবে খুবই কম এবং তা নিরসনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।