জাহিদুর রহমান তারিক, ঝনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহে সরকার ঘোষিত নীতিমালা উপেক্ষা করে শহরের অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে অংখ্যা কোচিং ও প্রাইভেট পড়ান সেন্টার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এর সাথে জড়িত রয়েছে ঝিনাইদহ শহরের এক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষক ও প্রভাষকগন। ভাল স্কুলে ভর্তির সুযোগ, মেডিকালে ভর্তির সূযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নিশ্চয়তা, পি এস পি, জে এস সি, এস এস সি , এইচ এস সি পরীক্ষায় জি পি এ প¬াস পাওয়ার নিশ্চয়তা সহ নানা রকম প্রলভন দেখিয়ে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এই সমস্ত প্রলভনের কথা শুনে পাগলের মত নেশাগ্রস্ত হয়ে ছুটে চলছে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। দেখা গেছে যে ঝিনাইদহের সনাম ধন্য বিদ্যাপীট ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজ সেখানে প্রায় ২৪/২৫ হাজার ছাত্র ছাত্রী অধ্যয়ন করলেও যখন ক্লাস চলে তখন তেমন উপস্থিত লক্ষ করা যায় না কিন্তু বিকাল বেলার দিকে এই কলেজের রুমে রুমে এই কলেজের প্রভাষকদের প্রাইভেট পড়াতে দেখা যায়। এই কলেজের সামনেই গড়ে উঠছে মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির সুযোগের কথা বলে গড়ে উঠছে বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার। তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি কোচিং বাণিজ্য জড়িয়ে পড়েছে বেশ কয়েকজন বাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ঝিনাইদহ শহরের আদর্শ পাড়া এলাকা হয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট পড়ান পাড়া হিসাবে। তার মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য ভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে প্রবর্তন কোচিং সেন্টার, নলেজ কোচিং সেন্টার, এডুকেশন প¬াস কোচিং, প্রগ্রেস কোচিং, ঝিনাইদহ ক্যডেট কোচিং উলে¬খযোগ্য । কয়েক জন শিক্ষক এখানে কোচিং এর নামে স্কুল খুলে বসেছে কচাতলার মোড়ে হীরাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমান আলী সজল তিনি অংকের শিক্ষক কিন্তু তার নিজ স্কুল থেকে এ পর্যন্ত কেউ অংকে এ প্ল¬াস পায় নাই। সে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের গণিতের প্রশিক্ষক। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় সকাল বিকাল ২ বারে প্রায় ২০০ ছাত্র ছাত্রী পড়ায়। অভিবাবকরা জানিয়েছেন সে স্কুলে গিয়া ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কোচিং এর খাতা কর্মের কাজ করেন। এই তালিকায় রয়েছে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বাসুদেব বাবু, সাইদুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, উল্লে¬খযোগ্য তারা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে কোচিং সেন্টার খুলে বসে আছে। ছাত্র ছাত্রীরা তাদের নিকট পড়াশুনা করলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তির সমস্যা থাকবে না ।এই তালিকায় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের কয়েক জনের নাম উঠে এসেছে তারা হলেন সালমা খাতুন, বাপ্পি, রেজাউল ইসলাম ও সফিকুর রহমান উলে¬খযোগ্য। গোপন সুত্রে সংবাদ পেয়ে সালমা খতুনের নিজ বাড়ির দ্বিতীয় তলায় দেখা যায় প্রায় ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে সকাল ৭ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত কোচিং করাতে জানা যায় তিনি প্রতিদিন ২/৩ ব্যাজ এই ভাবে কোচিং করান। তার সাথে এই ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন যে শিক্ষার্থীদের অভিবাকেরা নাছর তাদের হাত এড়াতে পারি না তাই ব্যধ্য হয়ে কোচিং করছি। তাঁহা ছাড়া স্কুলে শিক্ষকতা করে যে বেতন পায় তাঁহা দিয়ে আমার নিজ সন্তানদের লেখাপড়া ও খাওয়া খরচ চালান সম্ভব না। তাই আমাকে বাড়তি আয়ের জন্য এই পরিশ্রম করতে হয়। ইহা ছাড়া শাপলা চত্তরের পূর্বাভাস ক্যাডেট কোচিং, পাগলা কানাই মোড়ের ওরিয়েন্টাল কোচিং, পার্ক পাড়ার ফেমাস একাডেমিক কোচিং, ২ নং রফি টাওয়ারের ওরাকল একাডেমিক কোচিং উলে¬খযোগ্য ভুমিকা পালন করে আসছে। তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি কোচিং বাণিজজ্যের দিক দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা পিছিয়ে নেই, তার মধ্যে ঝিনাইদহের আদর্শ পাড়ার বকুলতলা নামক স্থানে রওশন সারের কোচিং সেন্টার উলে¬খযোগ্য তাকে সকাল ৭ থেকে ৮ টা পর্যন্ত প্রায় ৫০/৬০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে ক্লাস করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ শহরের উপশহর পাড়ায় পাওয়া গেল “মাইট” নামের একটি কোচিং সেন্টার, যার পরিচালনায় মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তিনি ঝিনাইদহের রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাগান্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম, জারগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাফিরুল ইসলাম ও কলকাকলি কিন্ডার গার্ডেনের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মুসলিমা খাতুন। সাইন বোর্ডে লেখা হয়েছে যে এখানে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী কর্তৃক প্রথম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত সৃজন শীল পদ্ধতি কে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে যতœ সহকারে পাঠদান করা হয়।
উল্লে¬খ্য যে ঝিনাইদহে সাবেক জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম এই সমস্ত প্রাইভেট কোচিং এর বিরুদ্ধে ব্যাপাক অভিযান চালান ফলে কোচিং সেন্টারে নামে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়াছিল। তিনি এখানে থেকে চলে যাওয়ার পর আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে কোচিং সেন্টারের জম জমাট ব্যাবসা।