শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ঝিনাইদহে ব্যাংক কর্মকর্তার প্রবাসির স্ত্রীকে বিয়ে-থানায় জিজ্ঞাসাবাদ !

ঝিনাইদহে ব্যাংক কর্মকর্তার প্রবাসির স্ত্রীকে বিয়ে-থানায় জিজ্ঞাসাবাদ !

শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমানকে নারীসহ থানায় আটক করেছে থানা পুলিশ। তৌহিদুর রহমান খুলনার গল্লামারি এলাকার এনায়েত হোসেনের ছেলে। বুধবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আটক রাখা হয় তাকে। এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন ব্যাংকটির ম্যানেজার (ভিপি) শেখ আব্দুস সালাম। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থানা থেকে ছড়িয়ে নেয়ার জন্য জোর তৎপরতা চলছে বলে জানা গেছে। এ জন্য এক লাখ ২০ হাজার টাকায় দেন দরবার করা হয়েছে। পুলিশের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের ম্যানেজ করারও দায়িত্ব নিয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাঞ্চন নগর পাড়ার আলী অহম্মদের সৌদি প্রবাসী ছেলে নুর আলমের স্ত্রী ছিলেন আমিনা পারভীন ম্মৃতি। নাতাশা আইভি নামের ৮ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা উত্তোলনের জন্য স্ত্রী আমিনা পারভীন ম্মৃতিকে প্রায় ব্যাংকে যাতায়াত করতে হয়। এর ফাঁকে ব্যাংকের এসপিও তৌহিদুর রহমানের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। তারা গত বছরের আগষ্ট মাসে একটি ভুয়া কাবিন নামা তৈরী করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকে। বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ার কারনে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনে। অবশ্য স্মৃতির দেবর ফারুক হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে তার ভাবি স্মৃতি ও ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমান যোগসাজস করে তাদের বাসা থেকে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে। থানায় আটক স্মৃতি খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ১৫ বছর খোজ নেয় না। এ কারণে ২০১৫ সালের মে মাসে তাকে আমি তালাক দিয়েছি। ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমান জানান, আমার স্ত্রী মরিয়মের ব্যবহার ভাল না। তাই আমি সুখের কারণে স্মৃতিকে কাজী হাফিজুর রহমানের কাছে গিয়ে বিয়ে করেছি। এদিকে কাজী হাফিজ স্মৃতি ও তৌহিদের বিয়ে পড়াননি বলে দাবী করেছেন। তৌহিদ ও স্মৃতির ঘরে আগেড়র পক্ষের তিনটি সন্তান রয়েছে। স্মৃতির দেবর ফারুক হোসেন জানান, তার ভাই নুর আলম দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাস থেকে স্ত্রীর নামে ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ২০৫৬১ নাম্বার সঞ্চয়ী হিসাবে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছে। এই টাকার মধ্যে ৬০/৬৫ লাখ টাকা নিয়ে তার ভাবি ভেগে গেছে। ভাইয়ের পাঠানো টাকায় সে জমিও কিনেছে। ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজারের দেয়া তথ্য মতে ২০১৫ সালে ২০৫৬১ নাম্বারের হিসাবটিতে ৩ লাখ টাকার বেশী জমা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।