ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ শহরের একটি বাড়িতে সাতদিন ধরে আটকে রেখে নুরুন্নাহার খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করেছেন তার স্বামী ও সতিন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী শহিদুল ইসলাম ও সতিন রহিমা খাতুন।
নির্যাতিত নুরুন্নাহার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বকরা আলী বিল গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
নির্যাতিত নুরুন্নাহার বাংলানিউজকে জানান, ১৪ বছর আগে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাজরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি সন্তান জন্ম নেয়। সাত বছর পরে শহিদুল ইসলাম আর একটি বিয়ে করেন।
এরপর থেকেই নুরুন্নাহারকে শারিরীক ও মানসিকভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করেন স্বামী শহিদুল ও সতিন রহিমা খাতুন।
২০/২৫ দিন আগে বাবার বাড়ি যাওয়া কথা বলে নুরুন্নাহারকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন শহিদুল। এরপর থেকেই শুরু হয় তার উপর অমানুসিক নির্যাতন।
সাতদিন ধরে ঘরে আটকে রেখে লাঠি, হাতুড়ি ও রড দিয়ে তাকে বেদম মারধর করা হয়। পরে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে।
বুধবার রাতে ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুরুন্নাহারকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে নুরুন্নাহার হাসপাতালের বারান্দায় কাতরাছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।