সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ঝিনাইদহের কৃষকরা ধান চাষের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা !

ঝিনাইদহের কৃষকরা ধান চাষের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা !

শেয়ার করুন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত বর্তী দেশের দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের শস্য ভান্ডারে বিখ্যত। ৪১৯.৫৩ বর্গ কিলো মিটার আয়োতন বিশিষ্ট মহেশপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের প্রধান পেশা কৃর্ষি। শর্স্য ভান্ডার খ্যাত এ উপজেলার প্রধান ফসল হিসাবে চাষ করা হয় ধান, পাট, গম ,আখ, পেয়াজ রসুন ও তুলা। তবে অধিকাংশ জমি ধান চাষের উপযোগি হওয়ার কারণে ধান চাষ উল্লেখ্য যোগ্য। ধান চষ করে চাষীরা নিজেদের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান ও চাল রপ্তানী করেন। ধানের বীজ বপন থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত চাষীদেরকে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু চাষীরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে নানা প্রতিকুলতার মধ্যেও ধান চাষ করেন। চাষীরা বলেন, ধানের বীজ বপন থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত চাষে যে খরচ হয়,ধান বিক্রি করে চাষের টাকা ওঠেনা। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ভালো মানের বীজ না পাওয়ায় চাষে ব্যাঘাত ঘটলেও তাদেরকে চাষ করতে হয়। তবে ধান চাষে সময় মতো সার ওষুধ পেলেও চাষীরা পাচ্ছে না ধানের ন্যায্য মূল্যে। যার কারনে দিন দিন এ উপজেলার চাষীদের ধান চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যাচ্ছে,অন্য ফসল চাষের প্রতি ঝুকছে চাষিরা। মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা বলেন, ধান চাষে সময় মতো সার ওষধ পেলেও চাষীরা পাচ্ছেনা ধানের ন্যায্য মূল্য তাই চাষীরা ধান চাষের পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করছেন। তিনি আরও বলেন এ বছর লক্ষ মাত্রা ছিলো ১৮২৮০ হেক্টর। এ বছর লক্ষ মাত্রার চেয়ে ২০০০ হেক্টর জমিতে কম ধানের আবাদ হয়েছে। কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন ,চাষিদেরকে কৃর্ষি অফিস নানা ভাবে প্রশিক্ষন প্রদর্শন ও সহযোগিতা দিয়ে ধান চাষ করতে উৎবুদ্ধ করেন। তবে ধানের বীজ বপন থেকে শুরু করে ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত যে পরিমান খরচ হয় ধান বিক্রি করে চাষীদের সে খরচও ওঠেনা। এ কারনে ধান চাষ কোম করে দিয়েছে চাষিরা। ধান চাষের পরিবর্তে চাষ করছে অন্য ফসল। ধানের ন্যযো মূল্য ও সময় মতো ভালো মানের বীজ পেলে চাষিরা আবার ধান চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান কৃর্ষী অফিস ও চাষীরা।