আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে আজ। নির্বাচনের এই ফলাফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং দেশটির সাম্প্রতিক সময়ে পাস হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের জন্য একটি পরীক্ষা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ঝাড়খন্ডে তিন কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। ওই রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে বিজেপির হাতেই রয়েছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে। এর মধ্যেই ওই রাজ্যে ভোট হয়েছে।
মোদি সরকার বলছে, নতুন এই আইন নিপীড়িতদের সাহায্য করবে। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের কারণে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য তৈরি হবে।
নতুন এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। ঝাড়খণ্ডে সোমবার সকাল থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
প্রাথমিক ফলাফল বলছে, ওই রাজ্যে বিজেপির চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছে কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) জোট। ওই রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১টি আসন।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলোর বেশিরভাগই এবার বিজেপির চেয়ে কংগ্রেস, জেএমএম এবং আরজেডি-র জোটকেই এগিয়ে রেখেছে। এর আগে, শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। সেই তুলনায় ছোট রাজ্য হলেও ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সে দিকেই তাকিয়ে আছে মোদি সরকার। ওই রাজ্যে পাঁচ দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শুক্রবার ছিল শেষ দফার ভোট।
এদিকে, রোববার এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুসলিমদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, এই আইন তাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন করবে না। যেসব মুসলিম এই মাটির সন্তান, যাদের পূর্বপুরুষ ভারত মাতার সন্তান তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।