শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > জিতেও কঠিন সমীকরণে শঙ্কায় যুবারা

জিতেও কঠিন সমীকরণে শঙ্কায় যুবারা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ যুব বিশ্বকাপে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দল। সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়াকে ৫২ রানে হারায় মেহেদি বাহিনী। মোসাদ্দেকের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে এ জয় পায় তারা। তবে জিতেও শঙ্কা থাকছে বাংলাদেশের জন্য। কারণ একই দিনে আফগানিস্তানের কাছে অস্ট্রেলিয়ার হার। বাংলাদেশের কাছে প্রথম ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পর অস্ট্রেলিয়াকে ৩৬ রানে হারায় আফগানরা। এতে দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ শীর্ষে থাকলেও গ্রুপের সমীকরণ কঠিন হয়ে গেল। বি-গ্রুপে সুপার লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের হিসাব মেলাতে এখন শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া জিতলে তিনটি দলেরই পয়েন্ট হবে চার করে। এতে রান রেটে শীর্ষ দুদল নির্ধারিত হবে। অবশ্য শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকেই মোকাবিলা করতে হবে অস্ট্রেলিয়ার। কালই অনুষ্ঠিত হবে সেই ম্যাচ। আর আফগানিস্তান খেলবে নামিবিয়ার বিপক্ষে। জয়ের জন্য যুবাদের পুঁজিটা খুব বেশি ছিল না। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেটে ২৩৩ রান করে বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সাদমান ইসলাম এই ম্যাচেও ৬৫ রান করেন। তবে জয়ে মূল অবদানটা মোসাদ্দেকের। ব্যাট হাতে ৭০ রান করে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি প্রতিপক্ষের ব্যাটিংলাইন গুঁড়িয়ে দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২৯ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন।

এ ছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমান ২৪ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। লক্ষ্যমাত্রা খুব বেশি না হলেও শুরুতে উইকেট হারিয়ে রানরেট কমে যায় নামিবিয়ার। তৃতীয় উইকেটে পিচার্স ও কোয়েটজে ৬৪ রান করে ইনিংস নতুনভাবে নির্মাণের স্বপ্ন দেখান। তাতেও কাজ হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে দ্রুত উইকেট হারাতে হয়েছে নামিবীয় যুবাদের। শেষ পর্যন্ত এক ওভার বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে থামে তারা।

অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেলে আফগান যুবারা। টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। চার বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান করে তারা। মোহাম্মদ মুজতবা, ইহসানউল্লাহ ও হাসতুল্লাহ সাইদির হাফ সেঞ্চুরি করেন। পরে ব্যাট হাতে নেমে ৪৮ ওভারে ২১৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলীয় যুবারা। জেমস বাজলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। আফগানিস্তানের আবদুল্লাহ আদিল চারটি ও শরাফুদ্দিন আশরাফ তিনটি উইকেট নেন।