শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া সম্ভব

জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া সম্ভব

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতউল্লাহর প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবার বিশ্বের ১২২টি দেশকে জিএসপি সুবিধা দিয়েছে, কিন্তু বাংলাদেশকে দেয়নি। বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক ব্যতীত অন্যান্য পণ্য জিএসপি সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার ছিল। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিকৃত পণ্যের ৯০ শতাংশের বেশি হলো টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য। এ দেশে তৈরি পোশাক ও চিংড়ি খাত এবং ইপিজেডভুক্ত শিল্প কারখানায় শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে এমন অভিযোগ করে গত ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে।

জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন শর্ত সংবলিত ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৩’ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়।

প্রধানমন্ত্রী ওই অ্যাকশন প্ল্যানের শর্তগুলোও তুলে ধরেন। প্ল্যানের শর্তের মধ্যে রয়েছে, পরিকল্পনায় আইনগত ও নীতিগত ব্যবস্থা, প্রাতিষ্ঠানিক পুর্নগঠন, রপ্তানিযোগ্য তৈরি পোশাক কারখানা ভবনের ফায়ার, ইলেকট্রিক্যাল ও স্ট্রাকচারাল বিষয়ক যাচাই, প্রশাসনিক পদক্ষেপ, শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার, দুটি এনজিও’র কার্যক্রম পুনঃচালু করা, জনসাধারণের প্রবেশযোগ্য ডাটাবেজ প্রতিষ্ঠা, শ্রম ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন ত্বরান্বিত করা, হটলাইন প্রতিষ্ঠা করা, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়নে বিশেষ প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন, চিংড়ি সেক্টরে শ্রম অধিকার ও নিরাপদ র্কর্মপরিবেশ রক্ষা করা।

এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, গত ১৫ নভেম্বর ২০১৩, ১৫ এপ্রিল ২০১৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে ওই অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের অগ্রগতি ‘ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)’ বরাবর পাঠানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অগ্রগতি পর্যলোচনাপূর্বক অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে চলমান কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেয়।

এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি সময়ে সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে অবহিত করা হচ্ছে এবং অ্যাকশন প্ল্যানের অধিকাংশ বিষয় বাস্তবায়ন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অবশিষ্ট বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ‘চিফ ইন্সপেক্টর অব ফ্যাক্টরিজ অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট’ অফিস পুনর্গঠনসহ ২২৫ জন পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চালু রপ্তানিমুখী প্রায় ৩ হাজার ৬৮৫টি গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে অ্যালায়েন্স, অ্যাকোর্ড ও জাতীয় টিমের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৩৭৫টি গার্মেন্টস কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও স্ট্রাকচারাল বিষয় পরিদর্শন করানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪টি কারখানা ক্রটিপূর্ণ পাওয়ায় ‘রিভিউ প্যানেল’ এর সুপারিশ অনুযায়ী ওই কারখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে সব কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রাথমিক পরিদর্শন র্কার্যক্রম শেষ হবে।

এ লক্ষ্যে গত ৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৪ এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদে নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ আইন ও বিধিগত র্কার্যক্রম শেষে ওই খসড়া আইন বিল আকারে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলানিউজটোয়েটফোর.কম