শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > জামায়াত জনপ্রিয়তায় আতঙ্কে সরকার

জামায়াত জনপ্রিয়তায় আতঙ্কে সরকার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জামায়াতের উপর সরকার যত চাপ সৃষ্টি করছে দিন দিন জামায়াতের জনপ্রিয়তা ততই বাড়ছে। এদিকে জামায়াতের জনপ্রিয়তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে সরকার দলীয় এমপি মন্ত্রীরা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিব হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান। জামায়াতে উদ্দেশ্য হলো শরীয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ্য করা যায়।

১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনুরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি আওয়ামী লীগ ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপির সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয় লাভ করলে বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীন জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যার পূর্বনাম ছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইসলামী রাজনৈতিক দল। ১লা আগস্ট ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষনা করে।

এদিকে বিএনপির সাথে জামায়াত জোট গঠন করায় বার বার তাদের উপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন একদিকে সরাকারের চাপ অপরদিকে বামদের চাপ।

এদিকে, সরকার বিভিন্ন মামলায় তাদের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের কারাগারে প্রেরনের মধ্যদিয়ে তাদের উপর যে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে তাতে জামায়াত নিজেদের দুর্বল মনে না করে তারা এগিয়ে যাচ্ছে নিজ গতিতে।

এক দিকে জামায়াত তাদের দল কে গুছানোর জন্য চালাচ্ছে সর্বাত্তক প্রচার প্রচারনা অপর দিকে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের রক্ষায় রাজপথে করে যাচ্ছে আন্দোলন।

বর্তমানে জামায়াত তাদের জনপ্রিয়তা দেখানোর জন্য উপজেলা নির্বাচন কে নিয়েছে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে। তারা তাদের আন্তরিকতা দিয়ে উপজেলার ভোটারদের ঘরেঘরে চালাচ্ছে নির্বাচনি প্রচারনা।

তারা কোন ক্ষমতা চায়না তারা শুধু প্রমান করতে চায় এদেশে তাদের রয়েছে জনপ্রিয়তা। যার দ্বারা তারা রক্ষা করতে পারবে নিজেদের সম্মান, এবং শক্ত করতে পারবে দলের খুটি।

আশ্চর্য হলেও উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারা আওয়ামিলীগের সামান সমান। দেশে প্রথম দফায় ৯৭ টি উপজেলায় নির্বাচন হয়েছে এখন বাকি আছে বেশির ভাগ উপজেলা। তাই সামনের বাকি নির্বাচন গুলোকে কেন্দ্র করে জামায়াতের রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। অপরদিকে সামনের বাকি নির্বাচন কে নিয়ে আ’লীগ রয়েছে চরম আতঙ্কে।

জামায়াতের জন্য প্লাস পয়েন্ট রয়েছে তাদের একক পার্থী। আর আ’লীগের জন্য আতঙ্ক হচ্ছে তারা তাদের দলকে সামাল দিতে পাচ্ছেন। প্রত্যেক উপজেলায় তাদের রয়েছে বহুপ্রার্থী।