শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > প্রবাস > জাপানে অপপ্রচারের শিকার বাংলাদেশি মডেল

জাপানে অপপ্রচারের শিকার বাংলাদেশি মডেল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ জাপানে বাংলাদেশকে যিনি পরিচয় করিয়েছেন তার নাম রোলা। শ্রদ্ধেয় ড. ইউনুসের পর তিনি-ই বাংলাদেশের সুনাম প্রসার করেছেন জাপানে। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই মডেল কন্যা সর্বস্তরের জাপানীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি একাধারে মডেল, টেলিভিশন উপস্থাপিকা এবং গায়িকা।

রোলা তার আসল নাম নয়। মিডিয়া নাম। বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন, বাংলাদেশকে নিয়ে রয়েছে তার অনেক স্বপ্ন। তিনি মনে করেন ১০ বছর পর আজকের এই বাংলাদেশ থাকবে না, সার্বিকভাবে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এশিয়া তো বটেই অনেক উন্নত দেশেরও হিংসার পাত্র হবে বাংলাদেশ।

২৩ বছর বয়সী এই মডেল সম্প্রতি জাপান মিডিয়ার অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। আর তার কারণ আর কেহ নয়, জন্মদাতা পিতা। এর রেশ ধরে বাংলাদেশও প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতেও তিনি অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন যা মোটেই কাম্য নয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি পত্রিকাতে রোলার সাথে বেশ কয়েকটি কোম্পানির চুক্তি বাতিলের খবর ফলাও করে সংবাদ পরিবেশিত হয়। অথচ জাপান প্রবাসীদের ভালো কাজের কোন সংবাদ আজ পর্যন্ত পত্রিকাটিতে স্থান পায়নি। চুক্তি বাতিলের খবরটি সত্যের অপলাপ এবং তা বাতিলের জন্য উৎসাহ দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। প্রকৃত সত্য হল আজ পর্যন্ত কোন কোম্পানি-ই চুক্তি বাতিল করেনি।

রোলার পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে স্বাস্থ্য বিমার অর্থ তুলে প্রতারণা করেছেন। অভিযোগ অবশ্যই গুরুতর। এতে করে তিনি জাপান প্রবাসীদের এতো দিনের সুনাম নষ্ট করেছেন। আমরাও চাই তার প্রাপ্য শাস্তি হোক। পার পাবার কোন অবকাশ নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে পিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণের আগেই কেন কন্যাকে শাস্তি দেওয়া শুরু করে দিল মিডিয়া? কিন্তু কেন এই বৈষ্যমতা?

জাপানে অতি পরিচিত অকই-৪৮ এর কথা সকলেই জানে। বিশেষ করে অকই-৪৮ সঙ্গীত গ্রুপটির কথা।  সেই গ্রুপেরই প্রথম সারির একজন শিল্পী নিজ বক্ষ উম্মোচন এবং বয়ফ্রেন্ড কর্তৃক হাত রাখার নগ্ন দৃশ্য পত্রিকায় প্রচারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হলে জাপান পুলিশ ঐ সদস্যাকে তলব করে ভৎর্সনা করে ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করেছেন। এর আগেও একই সদস্যাকে উক্ত কামুক নগ্ন ছবি প্রচার না করার জন্য সর্তক করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও তিনি চুক্তিবদ্ধ হন। এই জন্যই তাকে এই তলব ও ভৎর্সনা করা হয়। অথচ সংবাদটি প্রবাসীরা তো বটেই অনেক জাপানিও তা জানে না।

একজন নিজে অন্যায় করে পার পেয়ে যান। আরেক জন পিতার অপকর্মে মিডিয়া কুৎসা’র শিকার হন, এটা বৈষম্য ছাড়া আর কি? আগে জানতাম, পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়। আর এইবার দেখলাম, পাপীকে তো বটেই পাপীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করো।

রোলা জাপানে কোন মামা খালুর খুটির জোরে প্রতিষ্ঠা পাননি। নিজ যোগ্যতা, অধ্যবসায় ও মেধার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি আমাদের গর্ব। কিছুদিন আগেও অনেক প্রবাসীই গর্ব করে বলতেন আমি ছোটবেলায় হেন করেছি, তেন করেছি। আজ সেই সব প্রচারকারীরাই অপপ্রচারে লেগেছে। আমার কথা হল সাধারণ জাপানিরাসহ আপামর প্রবাসীরা রোলার সাথে রয়েছে। জাপান পুলিশ, আদালত কিংবা চুক্তিবদ্ধ কোম্পানি রোলা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি। সকলের ভালোবাসায় এবং স্বীয় যোগ্যতায় ক্ষণিকের হোচট সামলিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা রাখি। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা।