রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী > বিএনপির ভিশনে উল্লেখিত অধিকাংশই সরকার পূরণ করেছে

জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী > বিএনপির ভিশনে উল্লেখিত অধিকাংশই সরকার পূরণ করেছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ আওয়ামী লীগের রূপকল্প: ২০২১’ এর প্রতিচ্ছবি বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি তাদের ভিশনে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছে তার অধিকাংশই বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। আগামী অর্থবছরে বাকি কাজগুলো শেষ করা হবে। বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছি। রূপকল্পের বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনে বাংলাদেশকে বিশ্বে অগ্রগামী ও উন্নত জনপদে পরিণত করতে আমরা জাতিকে আমাদের এই মেয়াদের মধ্যেই রূপকল্প ২০৪১ উপহার দেব।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা ক্ষমতায় গেলে কি কি করবে রূপকল্পটিতে তার দীর্ঘ ফর্দ দেওয়া হলেও কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে এটা বাস্তবায়ন করা হবে, কিভাবে অর্থায়ন হবে তা স্পষ্ট নয়। এটি অনেকটা নির্বাচনি ইশতেহারের মতোই হয়ে গেছে। এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের আগে ক্ষমতায় যেতে হবে। তারা সংসদীয় পদ্ধতি ও গণভোট পদ্ধতিসহ আরও যেসব মৌলিক পরিবর্তন করার কথা বলছেন তার জন্য সংসদে দুই-তৃতীংশ ভোট লাগবে।

সরকারি দলের সদস্য বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা ৪ গুণেরও অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৯ সালের ৩ হাজার ২শ’ মেগাওয়াট থেকে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভসহ) উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ হাজার ১৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৯৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে মোট ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। বর্তমানে মোট ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। বর্তমানে মোট ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে।