রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে আরো ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে আরো ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥

দিনাজপুর: দিনাজপুর বড়পুকরিয়া খনির কয়লা থেকে আরো ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে যাচ্ছে। আর এজন্য নির্মাণ করা হচ্ছে আরো একটি নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।

ইতোমধ্যে ওই খনির কয়লা থেকে নির্মিত দু’টি কেন্দ্র থেকে ১২৫ করে মোট আড়াইশ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। নতুন এ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটিতে অপর দু’টি কেন্দ্রের চেয়ে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জুন মাসে চীন সরকারের দুই হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা অর্থায়নে উক্ত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হয়। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের কাজ করে চীনা হারবিন কোম্পানি।

দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চীনা হারবিন কোম্পানিকে পরামর্শক হিসেবে সহযোগিতা করছেন ভারতীয় স্ট্রেক ও বাংলাদেশি বিসিএমসিএল’র (বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড) প্রকৌশলীরা। ইতোমধ্যে উক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে।

এ ব্যাপারে দিনাজপুর বড়পুকুড়িয়া নবনির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এসি মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে দেশে গ্যাসের মজুদ প্রায় শেষের দিকে।

এদিকে ডিজেলের মূল্য বেশি হওয়ায় স্বল্প খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দিকে সরকারের নজর বেড়েছে। শুধু বড়পুকুরিয়া নয় দেশের অন্যান্য কয়লা খনিগুলোতেও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো রয়েছে তার থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এ নতুন কেন্দ্রটি থেকে।

এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি চালু হলে খনি থেকে যে ময়লা পানি বের হয় তা বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে খনির পানি উন্মুক্তভাবে বের করে দেওয়ায় পরিবেশগতভাবে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যা তখন আর হবেনা।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ২০১৮ সাল হলেও দ্রুতগতিতে কাজ করার ফলে আগামী বছরের শেষের দিকেই কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি আরো জানান, উক্ত প্রকল্পটি চীন সরকারের অর্থায়নে ও তাদের নিয়োগ দেওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই নির্মাণ কাজ হচ্ছে। এতে পরামর্শক হিসেবে ভারতীয় স্ট্রেক ও বাংলাদেশি বিসিএমসিএলের প্রকৌশলীরা সহযোগিতা করছেন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম