স্টাফ রিপোর্টার ॥
আগামী নির্বাচনে যাতে জাতীয়তাবাদী শক্তি অংশগ্রহন করতে না পারে সেজন্য সরকার চক্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে আমাদের যে আন্দোলন তার নেতৃত্ব দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সেজন্য সরকার তাকে মিথ্যা মামলা ও জাল জালিয়াতের মামলায় সাজা দিয়ে পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।
মঙ্গলবার(২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন।
গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, এই ষড়যন্ত্র যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি তাহলে দেশের অস্তিত্ব নষ্ট হয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতি নষ্ট করে ফেলেছে, দেশের ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আর কাল বিলম্ব না করে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করি। জনগনের যে অধিকার, স্বাধীন দেশে বসবাসের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
ফখরুল বলেন, যিনি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই নেত্রীকে আজকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এই অবৈধ অনৈতিক সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রীকে রাজনীতি থেকে দুরে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত করেছে। আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া, জাতীয়তাবাদী দল এবং ২০ দল যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য এই চক্রান্ত। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা একটা ফ্যাসিস্ট শক্তি ও দেশের স্বাধীনতা ধ্বংসকারী শক্তির সঙ্গে লড়াই করছি। এই লড়ায়য়ে খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার মুক্তির জন আমাদের সবাইকে এখন নেমে আসতে হবে। প্রতিবাদ করতে হবে। আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করতে হবে।
তিনি একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দেয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি। অবিলম্বে খালেদা জিয়া সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানের এসময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।