বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং ফাহাদ কালচারাল সেন্টারে গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে আন্তর্জাতিক সংস্থা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববরেণ্য আলোচক ও ডিবেটর ইসলামিক স্কলার ডা. জাকির নায়েক।
জাকির নায়েক তার বক্তব্যে কুরআন ও বিজ্ঞানের গভীর সম্পর্ক তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, “কুরআন কোনো বিজ্ঞানের বই নয়, তবে প্রতিটি বিজ্ঞানের উৎসই হচ্ছে কুরআন।”
তিনি বলেন, “আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানের যত কিছু সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে তার সবকিছুই কুরআনে বর্ণিত আছে।”
এ সম্পর্কে তিনি ফিঙ্গার প্রিন্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা এখন দেখছি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গোয়েন্দা সংস্থা ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহারের মাধ্য মানুষের পরিচিতি সনাক্ত করছে অথচ এই ফিঙ্গার প্রিন্টের কথা আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনের ৭৫ নং সুরার ৩-৪ নাম্বার আয়াতে বলেছেন, তিনি শুধু হাঁড় নয় বরং আঙ্গুলের প্রতিটি রেখাকে হুবহু তৈরি করতে সক্ষম”।
চাঁদের আলো সম্পর্কে তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, বর্তমানে বিজ্ঞানীরা একমত হচ্ছে যে চাঁদের নিজের কোনো আলো নেই। অথচ এখন থেকে প্রায় ১৪ শত বছর পূর্বে পবিত্র কুরআনের ২৫ নং সুরার ৬১ নাম্বার আয়াত, ১০ নং সুরার ৫ নাম্বার আয়াত, ৭১ নং সুরার ১৫-১৬ নাম্বার আয়াতসমূহে আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, চাঁদের নিজের কোন আলো নেই চাঁদ থেকে যে আলো আসে তা আরেকটি বাতির প্রতিফলিত আলো। এছাড়াও তিনি পৃথিবী, পাহাড়, সমুদ্র, পানি, মানুষ, নর-নারী, সূর্যসহ নানাবিধ বিষয়ে কুরআন ও বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন।
তার আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রশ্ন উত্তর পর্ব। প্রশ্ন উত্তর পর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অমুসলিমরা তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এবং প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব পাওয়ায় উপস্থিত ক্ষেত্রেই আটজন আমুসলিম ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। ওই আটজনের মধ্যে তিনজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। তাদের মধ্যে ভারতের আন্ধ্রা প্রদেশের চারজন পুরুষ, ফিলিপাইনের তিন জন মহিলা ও একজন পুরুষ ছিলেন। আলোচনা
সভায় প্রায় ২০ হাজারের উপরে উপস্থিতি ছিল। রাত ১২ টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আয়োজকরা।