রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > জন-আকাঙার পক্ষে দাঁড়ালেন না প্রধানমন্ত্রী

জন-আকাঙার পক্ষে দাঁড়ালেন না প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥ নিউ ইয়র্কে জন-আকাঙার পক্ষে দাঁড়ালেন না প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতসহ বাংলাদেশের সব বন্ধু রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান, অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের সঙ্কট সমাধানে দেশ ও প্রবাসের কোটি কোটি বাঙালির অধীর আগ্রহ আর একটি স্থিতিশীল নিকট ভবিষ্যতের জন্য পুরো বাংলাদেশের গভীর আকাঙাকে উপো করে, চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধান তথা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও দলনিরপে জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে বিরোধী দলগুলোর দাবির কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনামূলক জবাব কিংবা নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্কট সমাধানের কোন ইতিবাচক ইঙ্গিত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এক সপ্তাহের জাতিসংঘ সফর শেষ করলেন। অথচ চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশার দৃষ্টি ছিল প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের দিকে। এর ফলে শুধু যে বিরোধী দলের একটি দলনিরপে নির্বাচনের দীর্ঘদিনের দাবিই উপেতি হলো তা নয়, বরং পুরো বাংলাদেশকে ঠেলে দেয়া হলো এক অনিশ্চিত অভিযাত্রায়। প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফর শেষের মধ্য দিয়েই মূলত একটি নিশ্চিত অনিশ্চয়তার পথে যাত্রা শুরু হলো বাংলাদেশের।
প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ৬ষ্ঠ দিনে গতকাল নিউ ইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশে মূলত কোন রাজনৈতিক সঙ্কট নেই। সঙ্কট সৃষ্টিতে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তথাকথিত ‘সুশীলবাবু’দের বক্তব্য বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদের কথা বলা বন্ধ হলেই দেশে সঙ্কট কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সঙ্কট সঙ্কট বলে দিন-রাত চেঁচাচ্ছেন তাদের মনের সঙ্কটটিই বেশি। বিগত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির বিষয়ে ভোটারদের আবারও এক হাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এত সব ভাল কাজ করার পরও ভোটাররা আমদেরকে ভোট দেয়নি, তারা ভোট দিয়েছে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের। কেন ভোটাররা এমন করলো মিডিয়ার উচিত তাদেরকে জিজ্ঞেস করা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যর্থতার পেছনে আবারও মিডিয়াকে দোষ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এজন্য মিডিয়ারও ভূমিকা রয়েছে। সংবাদমাধ্যমগুলো নেতিবাচক খবরকেই বেশি প্রাধান্য দেয়, সরকারের অর্জনগুলোকে কখনওই গুরুত্ব দেয় না। আর সে কারণেই সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ হয়। ‘দেশের মানুষ সরলমনা, তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয়’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা টেলিভিশনে কথা বলেন তারাও একসময় বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছেন। এত বড় বড় কথা বলেন অথচ নিজেরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে কতটুকু কি করতে পেরেছেন তা সাংবাদিকরা খুঁজে দেখতে পারেন। স্ব-স্ব কর্মস্থলে যারা ব্যর্থ তারাই এখন দেশে বড় বড় কথা বলছেন। সঙ্কট বাড়াতে পারলে এদের গুরুত্ব বাড়ে বলেই তারা বারবার সঙ্কটের কথা বলেন। এরা কথা বন্ধ করলেই সঙ্কট কমবে- এটাই আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও নির্বাচনের এক মাস আগে বর্তমানে দেশে বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ অবস্থার মতো পরিস্থিতি ছিল না। এটা দেশ পরিচালনায় আমাদের দতার প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য কোন একটি স্থান থেকে আমাদের শুরু করতে হবে। আর তাই এবার সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে ঘোষণা দিয়ে, অবাধ ও নিরপে নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি’র প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি। জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপে নির্বাচন দেখতে পর্যবেক পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদলীয় নেত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করুন। সংসদে আসুন, পরিষ্কার করে বলুন কি চান। জাতির স্বার্থে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আমি যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাকে জনগণের কাছে ছোট করতে ব্যস্ত তারা শেখ হাসিনাকে খাটো করতে পারেন, কিন্তু যাকে বড় করছেন, কিংবা এর মাধ্যমে যিনি উঠে আসবেন তিনি কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চেষ্টা করবেন। ‘দেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে আবার পতাকা দেখতে চায় কিনা’ প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের চলমান সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বিরোধী দলকে সংসদে যোগ দেয়ার পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছেড়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়বে না। তারা আওয়ামী লীগকে হটিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেবেন। ‘কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রায় হয়ে গেছে, এই সরকার তার ফাঁসি কার্যকর করবে কি’- এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। তবে ফাঁসির রায় কার্যকর অবশ্যই হবে ইনশাআল্লাহ। ‘জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা’- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আইন অনুযায়ী চলবে, আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে। একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হিসেবে আরেকটি দল নিষিদ্ধ করার দাবি আমি করতে পারি না।
‘বিরোধী নেত্রী তার অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এলে, আপনি কিছুটা নমনীয় হবেন কিনা’- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে নমনীয় হতে যে কোন সময় প্রস্তুত রয়েছি। বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে চা খেতেও আপত্তি নেই। আমি তো চা খেতে পছন্দই করি। তিনি বলেন, আমাদের ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছে তারপরেও নমনীয় থেকেছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বেঁচে থাকি তা বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া চান না। আর সে কারণেই বিরোধীদলীয় নেত্রী তার নিজের ছেলের মাধ্যমে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এছাড়াও আমাকে হত্যার ল্েয আরও বেশ ক’টি উদ্যোগ ছিল। কোটালিপাড়ায় আমার জনসভাস্থলে মঞ্চের পাশে বোমা পোঁতার ঘটনায় মুফতি হান্নানের সঙ্গে হাওয়া ভবনের সম্পর্ক ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনককে হত্যার দিন, যে দিনটিতে আমি আমার বাবা-মা-ভাইদের হারিয়েছি সেই দিনটিকেই তিনি বেছে নিয়েছেন জন্মদিনের উৎসব করার জন্য। তার এই উদ্যোগই প্রমাণ করে বিরোধীদলীয় নেতা আমার ভাল চান না। আমি যেদিন শোক করি সেদিন তিনি মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে কেক কাটেন।
‘সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতার কোন সদিচ্ছাই নেই’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংসদে একটি মুলতবি প্রস্তাব তারা এনেছিলেন, কিন্তু দুই ঘণ্টার মধ্যে নিজেরাই তা প্রত্যাহার করে নেন। এতেই প্রমাণিত হয় গণতন্ত্রের ব্যাপারে তাদের কোন আস্থা নেই।
‘বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনওই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়নি’ এই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটি অবাধ ও নিরপে নির্বাচন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। ’৯৬-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগই কেবল পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে মতা হস্তান্তর করেছে। অন্য দল বা জোট কখনওই তা পারেনি। এ সরকারের আমলে ৫৭০০টিরও বেশি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন মানেই ১০টা হুন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা-এমন দিন আর এখন নেই। নির্বাচন বিষয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দলের নেতারা নির্বাচিত হলে তাদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বক্তৃতা দেন, আবার এই সরকারের অধীনে অবাধ নির্বাচন সম্ভব না বলে স্ববিরোধী বক্তব্য দেন। কিন্তু এতগুলো নির্বাচনে জয়ের পরেও তাদের ভয় কোথায়? রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে লংমার্চ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের পরিবেশের কোন তি হবে না। যারা বিরোধিতা করে লংমার্চ করছেন তাদের প্রতি যেখানে কেন্দ্রটি হচ্ছে সেখানে গিয়ে ঘুরে দেখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সেখানে গেলেই তারা বুঝতে পারবেন এটি কোন তির কারণ হতে পারে না। এছাড়া সরকার মহেশখালী, বাঁশখালীসহ কয়েকটি স্থানে আরও কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মামুনুর রশীদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই প্রেস কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন। প্রেস কনফারেন্সের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী তার এবারের জাতিসংঘ সফরের সংপ্তি বর্ণনা এবং এর ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন, এমডিজি অর্জনে সবচেয়ে অগ্রসর দেশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে প্রশংসিত হওয়া ও বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে উপস্থাপনের সুযোগ মিলেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপে নির্বাচন দেখার জন্য পর্যবেক দল পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছি। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ থেকে আরও সেনা পাঠানোর বিষয়ে মহাসচিবের সম্মতি পাওয়া গেছে। মিশনের উচ্চ পদগুলোতেও বাংলাদেশের অংশগ্রহণ যাতে থাকে সে ল্েযও কথা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এর বাইরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে না থাকলেও প্রেস ব্রিফিংয়ের পুরোটা সময়ে এবং ওই রাতের দলীয় সংবর্ধনায় তাকে বেশ ফুরফুরে মেজাজে এবং যথেষ্ট ভারমুক্ত দেখা গেছে।
এদিকে প্রেস কনফারেন্স শেষে ম্যানহাটনের হিল্টন হোটেলের তিনতলার গ্র্যান্ড বলরুমে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীরাসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা স্থলের বাইরে অদূরে বিএনপি-জামায়াতের যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সমর্থকরা বিােভ প্রদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মহাজোটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের বক্তৃতার সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা বারবার স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাসে ফেটে পড়েন- যা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময়ও চোখে পড়েনি। তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত উল্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা নার্ভাস মনে হয় এবং একপর্যায়ে দলনেত্রীর মুখে কালোছায়া নেমে আসে। অবশ্য দ্রুতই তিনি স্বাভাবিক হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সফরসঙ্গী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সফর শেষ করলেন ঠিকই, কিন্তু দলীয় প্রচার আর নিজস্ব ইমেজে সৃষ্টির চেষ্টা ব্যতীত দেশের সাধারণ মানুষের জন্য তিনি কোন সুসংবাদ সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারলেন না।