বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ‘জনস্বার্থে’ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার

‘জনস্বার্থে’ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

ঢাকা : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে তার দায়িত্বে থাকা সকল মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে অব্যাহতিপত্রটি প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীর হাতে দেয়া হয়। তবে এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পত্রটি ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রসিকিউশন।

চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে পাঠানো অব্যাহতি পত্রে বলা আছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং (রেজি নং-৩৭, তাং- ১২/১০/২০১৪), শামসুল হোসেন তরফদার এবং অন্যান্য মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টতা থেকে প্রত্যাহার করা হলো।’

‘পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরিচালনাধীন কোনো মামলা পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হলো। এ আদেশটি জনস্বার্থে দেয়া হলো।’

তবে প্রসিকিউশন সূত্র থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি হান্নানের মামলায় মোহাম্মাদ আলী প্রসিকিউটরসুলভ আচরণ করেননি। যে কারণে প্রসিকিউশন থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। তা ছাড়া এর আগেও প্রসিকিউশনের অন্যান্য সদস্য মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে ২০১৪ সালের জুন মাসে প্রসিকিউটরদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনা ঘটে। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী অপর প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আর্জি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী বরাবর আবেদন করেন।

পরে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান।

২০১৪ সালের মার্চে তুরিন আফরোজ ও মোহাম্মদ আলী আরেক দফা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছিলেন। সেসময় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রসিকিউশন টিমের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কাজ ঠিক মতোই চলছে। তবু আমি সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’

এদিকে প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ আলীর বরাবর পাঠানো অব্যাহতিপত্রটি আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। ব্যস্ত আছেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ‘চিঠির কপি আমরা হাতে পেয়েছি। পরে তদন্ত করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’