শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > জনতার এমডি নিয়োগ পেতে জোর প্রতিযোগিতা

জনতার এমডি নিয়োগ পেতে জোর প্রতিযোগিতা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ নিয়ে দায়িত্বশীলদের কেউ-ই মুখ খুলছেন না। বাণিজ্যিক এই ব্যাংকটির নতুন এমডি কে হচ্ছেন- তা নিয়ে ব্যাংকপাড়ায় ব্যাপক আলোচনা চললেও দায়িত্বশীলরা তা এড়িয়ে চলছেন।

তবে পদটি পেতে বিভিন্ন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যার যার মতো করে সরকারের উচ্চ মহলে জোর তদবিরের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বলে খবর মিলছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোতে।

এরমধ্যে আছেন ব্যাংকের বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও এমডি এসএম আমিনুর রহমানও। ২৭ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এই পদে থাকতে জোর চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি।

তবে এই পদে আবারও বর্তমান এমডিকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই পদ পেতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডি মো. আবদুস সালাম, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) এমডি ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এমডি নিয়াজ হাবিব, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এমডি মো. মোফাজ্জল হোসাইন জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। আছেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের একজন ডিএমডিও।

এদিকে এ পদে তৃতীয় বারের মতো নিয়োগ পেতে জোর চেষ্টা করছেন ব্যাংকের বর্তমান এমডি এস এম আমিনুর রহমান।

তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের কাছে যোগাযোগ করে ফের ৬ মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে চান এই পদে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ইতোমধ্যে এস এম আমিনুর রহমানের নাম প্রস্তাব করে একটি ফাইল বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

তবে এই প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নাকচও করে দিয়েছে।

কিন্তু গত সপ্তাহে এস এম আমিনুর রহমানের নাম পুনরায় জনতা ব্যাংকের পর্ষদ অনুমোদনের পর ফের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও আবার তা বিবেচনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বর্তমান এমডি এস এম আমিনুর রহমানের দ্বিতীয় দফার চুক্তি ভিত্তিক মেয়াদ চলতি বছরের ২৭ জুলাই শেষ হয়। প্রথমবার ৬ লাখ টাকা মাসিক সম্মানিতে এই পদে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

কিন্তু প্রথম দফার মেয়াদ শেষের পর আবারও এই পদে থাকতে তোড়জোড় শুরু করেন আমিনুর। এসময় সরকার তাকে আগের অর্ধেক সম্মানীর প্রস্তাব করলেও তিনি এ পদে থেকে যান।

দ্বিতীয় দফার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তৃতীয় দফায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বর্তমান এমডি এস এম আমিনুর।

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হল অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব গোকুল চাঁদ দাস বিষয়টি এড়িয়ে যান।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো ফাইল নেই। ব্যাংকের এমডি আমরা নিয়োগ দিই না। নিয়োগ দেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু আমাদের অবহিত করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং পলিসি অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, শিগগির জনতা ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এমডি হিসেবে এসএম আমিনুর রহমানের ব্যাপারে কোনো অনাপত্তি চাওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এই মুহূর্তে আমার মনে নেই।

এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে এস এম আমিনুর রহমানকে মনোনয়ন দিয়ে তা প্রস্তাব আকারে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এমডি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনাপত্তি চেয়ে থাকে। অনাপত্তি না দিলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম