বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরীফ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। হৃদরোগসহ জটিল সব রোগ বাসা বেধেছে তার দেহে। ইমলামাবাদের হাইকোর্টকে লাহোর কেন্দ্রীয় কারাগারের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. শাকিল ইরফান।
মঙ্গলবার বিচারক আমির ফারুক ও মহসিন আকতার কায়ানির নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে নওয়াজ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান এই চিকিৎসক।
ডা. শাকিল বলেন, নওয়াজ শরীফ মূলত ২০০১ সাল থেকে অসুস্থ।
পিটিশনে বলা হয়, তিনি মূলত ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ এবং করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং (সিএবিজি), হাইপারটেনশন (এইচটিএন), টি ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস এবং ক্রনিক কিডনি (সিকেডি) রোগে আক্রান্ত।
এর আগে ২ ফেব্রয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পাকিস্তানের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
তাকে পূর্বাঞ্চলীয় লাহোর শহরের কোট লাখপাত কারাগার থেকে একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সেখানেই তার মেডিকেল চেক-আপ এবং বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।
ছয়দিন হাসপাতালে থাকার পর ৭ ফেব্রয়ারি তাকে আবারও জেলে পাঠানো হয়।
ওই দিন তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ লাহোরের একটি সরকারি হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, সরকার তার বাবার অসুস্থতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মজা নিচ্ছে।
মরিয়ম বলেন, সবাই জানেন যে, তার হৃদযন্ত্রে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তারপরও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার তাকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে।
তাকে যে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল সেখানে কোন হৃদযন্ত্রের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিল না। ফলে তার জীবন ঝুঁকিতে ছিল। বাবার যদি কোন কিছু হয় তবে এর দায়ভার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকারকে নিতে হবে বলেও হুমকি দেন মরিয়ম নওয়াজ।
এসময় তিনি তার বাবার চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডনে পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
প্রসঙ্গত দুর্নীতির অভিযোগে কারাভোগ করছেন এই পাকিস্তানের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।