স্টাফ রিপোর্টার ॥
আইজিপি একেএম শহীদুল খান বলেন, তামিমেরা মাদ্রাসায় পড়েনি। তারা অতি আধুনিক সংস্কৃতিতে চলাফেরা করেছে। গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সদস্যরা তামিমদের ঘেরাও করে ফেলেছিল। তাদেরকে সাড়ে তিন ঘন্টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল আত্মসমর্পণের জন্য। তাদের কাছে অস্ত্র ছিল। তারা সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। আত্মসমর্পণ না করায় আমাদের পুলিশ বাহিনীও মৃত্যু ঝুঁকিতে ছিল। পরে তাদের সাথে মোকাবিলা করা হয়েছে। অবশেষে তারা মৃত্যুবরণ করেছে।
তিনি গত ২৭ আগস্ট বিকেল ৫টায় গাজীপুরের রাজবাড়ী মাঠে জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত জঙ্গীবাদ নাশকতা ও মাদকবিরোধী ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা অপকর্মের সাথে জড়িত আল্লাহতায়ালা তাদের শাস্তি দিবেন। তারপরও আমাদের সকলকে আমাদের পরিবার পরিজন সন্তান সন্ততিসহ সকল স্তরের মানুষকে নিরাপত্তার জন্য বুঝাতে হবে।
পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক খান বলেছেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম কিন্তু কতিপয় স্বার্থান্বেষী ইসলামের নামে বদনাম করছে। তারা ইসলাম জানেনা, এক আধটু সুরা মুখস্ত করে মানুষকে জেহাদের পথে ডাকছে, মানুষ হত্যা করছে।
তিনি বলেন, মাদ্রাসায় যারা পড়ে তারা জঙ্গী তৎপরতায় জড়িত নয়। যারা মাদ্রাসায় পড়ে তাঁরা বিশেষ কোনো দলের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
জঙ্গীবাদের সাথে ইসলামকে মিলানো হয়েছে, তাই ইসলামকে বদনাম থেকে বাঁচাতে শিক্ষক, আলেম ওলামা-মাশায়েখসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
আইজিপি বলেন, জঙ্গীরা গ্রেফতারের পর তারা ইসলাম বাঁচাতে মানুষ হত্যার কথা বলেছে। তারা বলেছে মৃত্যুর পর তারা বেহেশতে যাবে। নারী জঙ্গীরাও একই কথা বলেছে। তারা সকলে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা পেয়েছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম, কাপাসিয়া বঙ্গতাজ কলেজের অধ্যক্ষ পীরে কামেল মাওলানা মীযানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসেন, মাওলানা আব্দুল মান্নান বাজিতপুরী, হযরত মাওলানা মুফতী লেহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, অধ্যক্ষ নাসির উদ্দিন খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ।