শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > ছয় বছরেও চালু হয়নি নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল

ছয় বছরেও চালু হয়নি নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ২০০৭ সালে। এরপর কেটে গেছে প্রায় ছয় বছর। অথচ চালু হয়নি টার্মিনালটি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপরে সিদ্ধান্তহীনতার কারণেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ছয় বছরেও চালু করতে না পারায় বন্দর কর্তৃপ আয়বঞ্চিত হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কারণ বছরে ২০০ কোটি টাকা আয়ের ল্য থেকেই নির্মাণ হয়েছে কনটেইনার টার্মিনালটি।

জানা যায়, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে চায়না হারবার নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান এনসিটি নির্মাণের কাজ শুরু করে। নির্মাণকাজ শেষ করার সময় বেঁধে দেয়া হয় ২০০৬ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরে সময় আরো বাড়ানো হলে ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ শেষ হয়।

এনসিটি পরিচালনার জন্য ২০০৮ সালের ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, হংকং ও ভারতের একটি করে মোট সাতটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠান প্রাকযোগ্য বিবেচিত হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০০৯ সাল থেকে বিদেশী অপারেটর দিয়ে এনসিটি পরিচালনার কথা বলা হয়। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপ নিজেই এনসিটি পরিচালনার উদ্যোগ নেয়। শুরুতেও বন্দর কর্তৃপরেই এনসিটি পরিচালনার কথা ছিল।

কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপরে সচিব সৈয়দ ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে সরবরাহ-পরিচালন-হস্তান্তরের (এসওটি) ভিত্তিতে এনসিটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত হলেও এখন বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ ল্েয কাজও চলছে। শিগগিরই এটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।’

জাহাজ ভেড়ানোর উপযোগী এক হাজার কিলোমিটারের পাঁচটি বার্থের বিপরীতে ১ লাখ ৬৭ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড ও একটি ৩৩ কেভি ইলেকট্রিক সাবস্টেশনের সুবিধা রয়েছে এনসিটিতে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটিতে ১ হাজার ৩৪৩ জন লোক নিয়োগ, বছরে ৫ লাখের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও ২০০ কোটি টাকা আয় প্রাক্কলন করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে চালু করতে না পারায় কাঙ্তি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপ।

এ অবস্থায় পাঁচটির মধ্যে ৪ ও ৫ নম্বর বার্থের পেছনে পশ্চাত্সুবিধা অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজ ২০১২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো সম্পন্ন হয়নি। সর্বশেষ সময়সীমা তৃতীয় দফা বাড়িয়ে ২০১৩ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়। তার পরও ২৩ শতাংশ কাজ এখনো বাকি বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।