রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ছাত্রলীগ নেতার চাকরিতে বাধা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা

ছাত্রলীগ নেতার চাকরিতে বাধা আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ নিয়োগপত্র পাওয়ার পরও ছাত্রলীগের এক নেতা কাজে যোগ দিতে না পারায় উপাচার্যকে দুই দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের নেতৃত্বে দেড় শতাধিক নেতাকর্মী উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে এই সময়সীমা বেঁধে দেন।

গত ১৩ জুলাই জাবি ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেন দ্বীপুকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে সহ আরও পাঁচজনকে উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে ‘অ্যাডহক ভিত্তিতে’ প্রশাসনের নানা পদে নিয়োগ দেন।

এরমধ্যে পাঁচজন সোমবার থেকে কাজে যোগ দিতে পারলেও বিএনপি এবং আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের বড় অংশের বিরোধিতার মুখে ফয়সাল হোসেন দ্বীপু কাজে যোগ দিতে পারেননি।

এ নিয়ে সোমবার সকাল ১১টা থেকেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে জড়ো হতে থাকেন। তারা উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কাজে যোগদানের অনুমতি দিতে ৩০ মিনিটের সময় দেন।

এরপর দুপুর দেড়টার দিকে তারা আবারও উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে প্রায় একঘণ্টা অবস্থান করে। পরে আলোচনার পর আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

ঘটনার সময় উপস্থিত প্রক্টর টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রলীগের সময়সীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেন দ্বীপু বলেন, ‘আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের যে অংশ বিরোধিতা করছেন তাদের সাথে উপাচার্য আমাদের আলোচনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমি ওই পদের জন্য অযোগ্য নই। আর ছাত্রলীগ করেও যদি এই আমলে নিয়োগ না পাই এটা দুঃখজনক। আমি শিক্ষক রাজনীতির স্বীকার।’

সময়সীমার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সময় বেঁধে দেইনি। মৌখিকভাবে আগামী বুধবারের কথা বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য উপাচার্যকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি।

কাজে যোগ দেয়া অন্য ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা প্রক্টরের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সহসভাপতি আবু সৈয়দ জিন্নাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা পদে এবং সহসভাপতি রাজিব চক্রবর্তী শিক্ষা শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে।

সূত্র জানায়, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বিরোধী আন্দোলনের সময় ফয়সাল হোসেন দ্বীপু আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় আওয়ামীপন্থি এবং বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা তার নিয়োগের সরাসরি বিরোধিতা করছেন।

কাজে যোগ দেয়া অন্য দু’জনের মধ্যে উপাচার্যের একান্ত সচিব মো. ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা খন্দকারকে ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের ক্যারিয়ার গাইডেন্স পদে এবং উপাচার্য কার্যালয়ের সিনিয়র সর্টার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. আবু হানিফকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।