বুধবার , ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ , ১০ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > ছাত্রলীগের কমিটির পর আবরারকে হত্যা, আ’লীগের কমিটির পর ভিপি নুরকে হত্যাচেষ্টা: রব

ছাত্রলীগের কমিটির পর আবরারকে হত্যা, আ’লীগের কমিটির পর ভিপি নুরকে হত্যাচেষ্টা: রব

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংদের (ডাকসু) ভিপি নুরুর হক নুরকে তার ডাকসু কক্ষে রক্তাক্ত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। ডাকসুর এই ভিপি বলেছেন, নুরকে হত্যার উদ্দেশেই ছাত্রলীগ এ হামলা চালায়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির এক জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর বুয়েটের আবরার ফাহাদাকে হত্যা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর ডাকসুর ভিপির ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের চরিত্র।

তিনি বলেন, ডাকসু ভিপির কক্ষের বাতি নিভিয়ে যেভাবে ছাত্রলীগ হামলা করেছে তার এককথায় নারকীয়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার এ মাটিতেই হবে।

ডাকসু ভিপিসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, পেটুয়া বাহিনীর এই হামলার শিকার ছাত্ররা মারা যেত পারত। এখনও মারা যেতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

দেশে গণতন্ত্র নেই দাবি করে ড. কামাল বলেন, সংবিধানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। যেখানে গণতন্ত্র সংবিধানের প্রতিশ্রুতি। আজকে কি গণতন্ত্র আছে? এই প্রশ্ন আমরা রাখছি।

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি আবু সাইয়িদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহসীন রশিদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ– ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।

এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।