শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > চেলসিকে হারিয়ে বায়ার্নের প্রতিশোধের শিরোপা

চেলসিকে হারিয়ে বায়ার্নের প্রতিশোধের শিরোপা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥ টাইব্রেকারে মীমাংসিত ইউয়েফা সুপার কাপে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে জার্মানির ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। শুক্রবার উত্তেজনায় টইটুম্বুর খেলার প্রথম ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ গোলে। বায়ার্নের বিরুদ্ধে ১০ জনের চেলসি মধ্যকার খেলা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষ হয় ২-২ গোলের সমতায়। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ তখন টাইব্রেকারে গিয়ে দাঁড়ায়। টাইব্রেকারের শ্বাসরুদ্ধকর শটে গত মওসুমের জার্মানের ট্রেবলজয়ী পেপ গার্দিওলার বায়ার্ন মিউনিখ ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে ৫-৪ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সুপার কাপের শিরোপ জয়ের উল্লাসে মাতলো। চেলসি হারের খলনায়ক হয়ে থাকল এদিন রোমেলু লুকাকু।
টাইব্রেকারে বায়ার্নের প্রথম পাঁচটি শটই চেলসির গোল রক্ষককে পরাস্ত করে। চেলসি তাদের প্রথম চারটি শটই প্রতিপক্ষের জালে জড়ায়। কিন্তু বায়ার্ন গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার চেলসির বদলি খেলোয়াড় রমেলু লুকাকুর পঞ্চম শটটি ফিরিয়ে দিলে ৫-৪ ব্যবধানে জয় পায় বায়ার্ন মিউনিখ। এর মাধ্যেমে ২০১২ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে চেলসির কাছে হারের শোধ নিল বায়ার্ন। বায়ার্ন মিউনিখ এর আগে ১৯৭৫, ১৯৭৬ ও ২০০১ সালে ফাইনালে উঠলেও শিরোপার স্বাদ তারা পায়নি। কিন্তু এবার সেই অধরা শিরোপা তারা জিতল ইউরোপা লীগের চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে হারিয়ে। ইউরোপের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ও ইউয়েফা ইউরোপা লিগের চ্যাম্পিয়ন দুই দলের মধ্যে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এই সুপার কাপের লড়াই হয়।
এদিন শুধু ইউরোপ সেরা দুই ক্লাবের লড়াই-ই ছিল না। ছিল দুই নতুন কোচ পেপ গার্দিওয়া ও হোসে মরিনহোর লড়াইও। গত মওসুমেও তারা দু’জন ছিলেন স্পেনের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই জায়ান্ট বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের কোচ। নেপথ্য কারিগরের বিচারে রিয়াল কোচ মরিনহোর চেয়ে সেখানে সফল ছিলেন বার্সা কোচ গার্দিওলা। দু’জনই এবার স্পেন ছেড়েছেন। কিন্তু ময়দানি লড়াই শেষ হয়নি এখনও। পুরানো চেনা প্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হল সাবেক বার্সা কোচ গার্দিওলার।
শুক্রবার চেলসিকে ৮ মিনিটে এগিয়ে নেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আগের দিন ইউরোপ সেরার পুরস্কার জেতা ফ্র্যাঙ্ক রিবেরির ৪৭ মিনিটের গোলে খেলায় ১-১ সমতা আসে। চেলসির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার রামিরেস ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। বাকি সময়ে ১০ জনের চেলসিকে পেয়েও বায়ার্ন গোল ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয়। নির্ধারিত সময় খেলা অমীমাংসিত (১-১) থাকায় তা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যার ৩ মিনিটে বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার এডেন হ্যাজার্ডের গোলে দ্বিতীয়বারের মতো আবার এগিয়ে যায় মরিনহোর শিষ্যরা। শেষ ৪০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলে বায়ার্নের বিরুদ্ধে স্পষ্ট এগিয়ে তখন চেলসি। জয়ের গন্ধ তখন তাদের নাকে। মরিনহোর শিষ্যরা তখন রক্ষণভাগ আগলে রাখতে ব্যস্ত। কিন্তু খেলার শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে চেলসিকে হতাশ করেন বায়ার্নের মিডফিল্ডার জাভি মার্টিনেজ। ১২০ মিনিটে তার দারুণ এক গোলে সমতা ফেরে খেলায়। দু’বার এগিয়ে গিয়ে জয় বঞ্চিত হয় ইংলিশ ক্লাবটি। মরিনহোর কপালে তখন দুশ্চিন্তার স্পষ্টট ছাপ। তবে এমন লড়াই করে হেরে গিয়েও নিজেদেরই সেরা বললেন তিনি। বলেন, ‘এদিন সেরা দলই বায়ার্নের কাছে হেরেছে। চেলসি ১০ জনের দল নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ইউরোপ চ্যাম্পিয়নের বিরুদ্ধে খেলেছে। আমরা গর্বিত। আমি শুধু এতটুকুই বলব যে, সুপার কাপে সেরা দল আজ হেরেছে।’
টাইব্রেকারের ১০ শট
ডেভিড আলবা (বায়ার্ন) ১-০
ডেভিড লুইজ (চেলসি) ১-১
টনি ক্রস (বায়ার্ন) ২-১
অস্কার (চেলসি) ২-২
ফিলিপ লাম (বায়ার্ন) ৩-২
ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (চেলসি) ৩-৩
ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি (বায়ার্ন) ৪-৩
অ্যাশলে কোল (চেলসি) ৪-৪
জের্দান শাকিরি (বায়ার্ন) ৫-৪
রোমেলু লুকাকু (চেলসি) ৫-৪