বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
নির্বাচনী ক্যাম্পের টেলিভিশন চুরির অভিযোগে এক যুবককে হাত-পা বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের একটি বাজারে প্রকাশ্যে এ বর্বরতা চালানো হয়।
গত ২৮ ডিসেম্বরের এ ঘটনা সম্প্রতি মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে। মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাজারে অসংখ্য লোকের সামনে একটি মোটা গাছে হাত-পা বেঁধে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেয়া হয় রানা (৩৫) নামের এক যুবককে। তারপর মোটা লাঠি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক মারপিট করা হচ্ছে। একপর্যায়ে আরও শক্ত লাঠি আনার নির্দেশ দেন নির্যাতনকারী।
নির্যাতিত রানা হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ওমর আলীর ছেলে।
এ ঘটনা মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নির্যাতনকারীদের প্রধান শাহিনুর রহমান তুহিন তাহেরহুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভোটের আগে একটি নির্বাচনী ক্যাম্পের টেলিভিশন চুরির অভিযোগে রানাকে মাঠ থেকে ধরে এনে এমন নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনকারী তুহিন নিজেই বলেছেন, নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে টেলিভিশন চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়েছে। তার চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে।
তাহেরহুদা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনজের আলী জানান, এমন ঘটনা মধ্যযুগীয় বর্বরতার মতো। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সাজা দাবি করছেন। রানা নামের ওই যুবক টেলিভিশন চুরি করেননি বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
নির্যাতিত রানাকে প্রথমে কুষ্টিয়ায় পরে অজ্ঞাত স্থানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে রানার পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নির্যাতনকারী শাহিনুর রহমান তুহিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।