আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
সীমান্তে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারতে চলছে চীনা পণ্য বয়কটের ট্রেন্ড। অথচ চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেটি থেকে কিছু পোস্ট গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠিয়ে আপত্তি তুলেছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, লাদাখ সংঘর্ষের পর থেকে নরেন্দ্র মোদির পোস্ট চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে দেয়া হচ্ছে। শুধু মোদিই নন, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের পোস্টও উইবোসহ সব চীনা মাধ্যম থেকে ডিলিট করা হয়েছে।
চীনের ভারতীয় দূতাবাস সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সংঘাতের পর থেকেই চীনা সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমগুলো মোদির বক্তব্য ডিলিট করছে। গত ১৮ জুন মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি যা যা বলেছেন, সেগুলোও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় দূতাবাসের উইবো পেজ এবং উইচ্যাট গ্রুপে হাজার হাজার ফলোয়ার রয়েছে। ২০১৫ সালে চীন সফরের আগে উইবোতে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন মোদি। ভারতের দাবি, চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর পর থেকেই এ সংক্রান্ত কোনও খবরই পোস্ট করতে দেয়া হচ্ছে না সেখানে।
এর আগে, চীনের তৈরি ক্ষুদ্র ভিডিওশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে ভারত সরকারের অ্যাকাউন্ট থাকা নিয়েও দেশটি বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। একদিকে সরকার চীনাপণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছে, অন্যদিকে নিজেরাই চীনা মাধ্যম ব্যবহার করছে- এটিকে দু’মুখো নীতি উল্লেখ করে সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
গত ১৫ জুন রাতে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সহিংসতায় প্রাণ হারান ২০ ভারতীয় সেনা, আহত হন আরও অর্ধশতাধিক। চীন তাদের হতাহত সেনার সংখ্যা নিশ্চিত না করলেও ভারত দাবি করছে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের অন্তত ৪৩ সেনা হতহত হয়েছেন। এরপর থেকেই উত্তপ্ত দুই দেশের সম্পর্ক। সীমান্তে ক্রমাগত সেনা বাড়িয়ে চলেছে দু’পক্ষই।