বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
দেশের চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনে রাখবেন, আপনারা ডাক্তার। দেশের জনগণ যেন স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত না হয়। মানুষের সেবা দেয়াটা আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। জনগণের স্বাস্থ্য সেবার জন্য গত ১০ বছরে যেসব প্রতিষ্ঠান করেছি সেগুলো যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়।
বুধবার দুপুরে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন এবং এস্টাবলিস্টমেন্ট অব ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার এ্যাট শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-এর উদ্বোধনসহ অন্যান্য আরও ৮টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আয়োজন এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম শিশির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে হাসপাতালের একটি ভিডিও চিত্র উপস্থাপন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, চিকিৎসা বাংলাদেশের মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে এ কথাটি বলে গেছেন। সে কারণেই স্বাস্থ্য খাতের দিকে বেশি নজর দিয়েছি। তাছাড়া দেশের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দেশের মানুষ যেন সুস্বাস্ব্যের অধিকারী হয় সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশের মানুষ পেটের রোগে সবচেয়ে বেশি ভোগে। আমাদের দেশের জলবায়ু, পরিবেশগত কারণে, চলাফেরা, বন্যা, খরাসহ নানা কারণে মানুষ পেটের পীড়ায় ভোগে। এজন্য একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ভবন স্থাপন করলাম। এমন একটি প্রতিষ্ঠান করতে পেরে আমি আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। সামনে নির্বাচন আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে প্রত্যেক বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করবো।
তিনি বলেন, মানুষ যেন স্বাস্থ্য সেবা পায় সেজন্য বেসরকারি খাতে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারা যেন ট্যাক্স কম দিয়ে হাসপাতালের সকল ইকুইপমেন্ট ও মোশিনারিজ আমদানি করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় আমরা যেমন দেশের উন্নয়ন করেছি, তেমনি বিশ্বে বাংলাদেশের মান মর্যাদাও বৃদ্ধি করেছি। আগে বিদেশিরা কোনো বাঙালিকে দেখলে বলতো খুনি। এখন আর তা বলে না। বাংলাদেশের হারানো গৌরব আমরা ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এজন্য আমি গর্বিত।
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশি অনেক রাষ্ট্রপ্রধান আমাকে প্রশ্ন করেন- কীভাবে বাংলাদেশের এত উন্নয়ন করছেন? ম্যাজিকটা কী? উত্তরে আমার একটাই কথা, তা হলো- আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দিনরাত কাজ করি শুধু জনগণের জন্য। বঙ্গবন্ধু যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। জনগণ যদি আবার ক্ষমতায় আনে তাহলে তাহলে যেসব কাজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করলাম সেগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করে উদ্বোধনের ব্যবস্থা করবো।