রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > চালের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা মানুষ

চালের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা মানুষ

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥

হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নবীগঞ্জে নিন্ম আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় সরকারের ওএমএস চাল পাওয়ার আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দরিদ্র লোকজন।

গত ১৫ দিনে খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১৪-১৫ টাকা করে। তবে পাইকারী চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রতি কেজিতে ৫-৬ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিল মালিকরা বলছেন অকাল বন্যার কারণে ধানের উৎপাদিত এলাকার ফসলগুলো তলিয়ে যাওয়ায় তারা আগের তুলনায় এখন কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারছেন না। যে কারণে ধান ও চাউলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ধানের পাইকারী ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।

আবার অনেক মজুতদার ব্যবসায়ীরা অতি লাভের আশায় গুদামে শত শত বস্তা চাল মজুদ রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বৃদ্ধি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার বলছেন, দু-এক দিনে প্রতি কেজি চাউলে ২-৩ টাকা করে দাম কমেছে। তারা চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন। এছাড়াও নিন্ম আয়ের দরিদ্র মানুষ যাতে দু-বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে সেজন্য সরকার বাজারে ন্যায্য মূল্যে ওএমএস চাল বাজারে বিক্রি শুরু করেছে।

গতকাল সরেজমিনে ঘুরে নবিগঞ্জের পাইকারী ও খুচরা চাল ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও চালকল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এবারের অকাল বন্যার কারণে হবিগঞ্জের ধানের উৎপাদন এলাকা বলে খ্যাত বানিয়াচঙ্গ, আজমিরীগঞ্জ, লাখাই উপজেলার অধিকাংশ হাওর তলিয়ে গেছে।

নবীগঞ্জ, বাহুবল, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিচু এলাকার কিছু হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত ধান ঘরে তুলতে পারেননি। যেসব কৃষক উচু এলাকার জমি থেকে কিছু ধান সংগ্রহ করেছেন তা দিয়ে তাদের পরিবার চালাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আমরা সব সময় বাজার মনিটরিং করছি। দু- এক দিনে প্রতি কেজি চালের দাম ২-৩ টাকা কমেছে। চালের দাম আরো কমবে। আর কারও গুদামে চাল মজুদ থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

তিনি বলেন, হবিগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ দরিদ্র মানুষ ন্যায্যমূল্যে যাতে চাল পান এজন্য ওএমএস ডিলার চালু হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভায় ৫টি, শায়েস্থাগঞ্জ পৌরসভায় ৩টি ও প্রত্যেক উপজেলায় ৩টি করে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে সাধারণ জনগণকে ন্যায্যমূল্যে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে।

প্রতিদিন একজন ডিলার ১ টন চাল বিতরণ করবে। কোথাও অনিয়ম হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।