শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > চালু হচ্ছে আরো ৮টি বর্ডার হাট

চালু হচ্ছে আরো ৮টি বর্ডার হাট

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আরো আটটি স্থানে নতুন বর্ডার হাট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই চারটি বর্ডার হাট চালু করা হচ্ছে। বাকি চারটির ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সম্মতি দেয়া হয়েছে।

বর্তমানে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরের বালিয়ামারী ও সুনামগঞ্জের ডলোরা সীমান্তে দুটি হাট চালু আছে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে ২২টি সীমান্ত হাট বসার প্রস্তাব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্ডার হাট বসার পর থেকে দুই দেশের সীমান্তবর্তী জনগণের জন্য অনেক সুবিধা তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বিষয়টি লাভবান বিবেচনায় ভালো উদ্যোগ হিসেবে এগুলোকে আরো বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে কমিটি।

সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী শিগগিরই নতুন আরো চারটি সীমান্ত হাট চালু করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ফেনীর ছাগলনাইয়ার পূর্ব মধুগ্রাম ও ছয়ঘড়িয়ার মধ্যবর্তী স্থানে (ভারতের দক্ষিণ ত্রিপুরার শ্রীনগর সীমান্তে), ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কসবার তারাপুর (ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরার কমলা সাগর সীমান্তে), মৌলভীবাজারের জুড়ির পশ্চিম বটুলী (ভারতের উত্তর ত্রিপুরা পালবস্তি সীমান্তে) এবং কমলগঞ্জের কুরমাঘাটে (ভারতের কামালপুর সীমান্তে)।

এর মধ্যে ছাগলনাইয়া জেলার হাটটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। তারাপুরের হাটটি নির্মাণাধীন এবং বাকি দুটি হাটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও বিজিবি’র কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। শিগগিরই আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এছাড়াও আরো চারটি সীমান্তে ‘বর্ডার হাট’ বসানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এগুলোর সবকটিই ভারতের মেঘালয় সীমান্তে। এর মধ্যে রয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, সুনামগঞ্জের তাহিপুরের সায়দাবাদ, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার ভূইয়াপাড়া এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের বাগানবাড়ী রিংকু সীমান্তে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্ডার হাট সংশ্লিষ্ট জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট/সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি থাকবে। সপ্তাহে একদিন হাট বসবে। দৈর্ঘ্য-প্রস্তে’ থাকবে ৭৫ মিটার। উভয় দেশে মাত্র একটি করে দুটি প্রবেশ পথ থাকবে। হাটের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বসবসাকারীরা পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবে।

অত্যাধিক ভীড় হলে উভয় দেশের পক্ষ থেকে ক্রেতা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। উভয় দেশ থেকে ২৫ জন করে ৫০ জন বিক্রেতা পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবে। এই হাটে ক্রয়-বিক্রয় পণ্য হবে শুল্কমুক্ত। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০০ মার্কিন ডলারের সমমানের বেশি পণ্য ক্রয়ের সুযোগ পাবেন না।

প্রতিবেদনে বলা হয়,বর্ডার হাট বসানোর ফলে সীমান্তে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য অনেকাংশেই কমে যাচ্ছে। সীমান্তের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপশি উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় হচ্ছে।

কমিটির সভাপতি বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মো. মোতাহার হোসেন, নহৃরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, আ.ক.ম বাহাউদ্দীন, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মন্জুরুল ইসলাম লিটন এবং লায়লা আরজুমান বানু। নতুন বার্তা ডটকম