রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > চরম বিপাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

চরম বিপাকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে৷ ওদিকে এই সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সতর্কতা জারি করেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন৷

একমাস আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবি কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ব্যবসাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নানা অবৈধ কাজ কারবার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তোপের মুখে পড়ে৷ শিক্ষামন্ত্রী এবং মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান টিআইবি-র প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করে প্রতিবেদনটি প্রমাণ করতে অথবা ক্ষমা চাইতে বলেন৷ কিন্তু এবার মঞ্জুরি কমিশনই দেশের ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে৷ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ওই ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ করে ভর্তির ক্ষেত্রে ছাত্র এবং অভিভাবকদের সতর্ক থেকে তথ্য যাচাই-বাছাই করে তারপর ভর্তির সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো–দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়-চট্টগ্রাম, শান্তামারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটি৷

এ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মালিকনার দ্বন্দ্বে একই নামে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে৷ আবার কোনটির রয়েছে একাধিক এমনকি ৫০টির মতো অবৈধ ক্যাম্পাস৷ এছাড়া দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যাদের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেয়ার পরও আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে চালান হচ্ছে৷

মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, আদালতের নির্দেশে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় চলছে তাদের সনদের ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে৷ মালিকানার দ্বন্দ্বে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আদালতে মামলা করেছে, তাদের ব্যাপারেও আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ আর অবৈধ কাম্পাসের পড়লে বৈধ সনদ পাওয়ার কথা নয়৷ তিনি বলেন, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠনের সুপারিশ করেছেন৷

অন্যদিকে যেসব বেরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন শিক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইন পেশার সদন পাবে কিনা–তা নিয়ে জটিলতা দেখ দিয়েছে৷ বার কাউন্সিল তাদের আইন পেশার সনদ দেবে কিনা–তা নিয়ে শুনানি হবে ১৫ সেপ্টেম্বর৷

সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো–দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়৷ এই সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীদের এ বছর আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন ফরম দেয়নি বার কাউন্সিল৷
উল্লেখ্য, দেশে এখন ৭২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে৷-ডিডব্লিউ