শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > চতুর্থ ধাপেও সহিংসতার আশঙ্কা

চতুর্থ ধাপেও সহিংসতার আশঙ্কা

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ সংঘর্ষ আর সহিংসতার আশঙ্কা নিয়েই আগামীকাল হতে যাচ্ছে চতুর্থদফা উপজেলা নির্বাচন। দেশের ৯১টি উপজেলায় একযোগে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনও ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী উপজেলাগুলোতে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। তবে প্রার্থী আর ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা যেন কাটছে না। প্রতিমুহূর্তে উত্তেজনার রেণু ছড়াচ্ছে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে। সংবাদ সম্মেলন করে প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছেন। গতকাল বেশ কয়েক জায়গায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সরকার দলীয় সমর্থকদের গুলি ও হামলায় শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কেন্দ্র দখল আর প্রকাশ্যে সিল মারার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় অস্ত্রধারী বহিরাগত ক্যাডারদের মহড়া দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ভোটাররা।

উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যশোর সদর উপজেলা। নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বড় দুই দলের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা। চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। ইতিমধ্যে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মাশুক হাসান জয়। যশোর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, শাহীন চাকলাদার ও তার কর্মী-সমর্থকরা নানাভাবে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগের নামে ভোট কারচুপির নীলনকশা প্রণয়ন করছেন। জয় অভিযোগ করেন, সরকারি দলের নেতা শাহীন চাকলাদার ইতিমধ্যে ইছালী, লেবুতলা, হৈবতপুর, চুড়ামনকাটি, দেয়াড়া, আরবপুর, চাঁচড়া, ফতেপুর, নওয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার ৮১টি কেন্দ্র দখল করে তার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য দলীয় ক্যাডারদের নির্দেশ দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি যশোর সদর ছাড়াও আশপাশের এলাকা বিশেষ করে মাগুরার শালিখা, সীমাখালী, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, যশোরের শার্শা, খুলনার ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার নামকরা সব সন্ত্রাসীকে যশোর শহরে জড়ো করছেন।এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে জয় বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনকে দায়ী থাকবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জয় আরও বলেন, ইতিমধ্যে শাহীন চাকলাদার ও তার লোকজন বিভিন্ন স্থানে বিশেস করে ভোটারদের কাছে প্রচার করছে, নির্বাচনে তার বিজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। অপনারা যারা আমাকে ভোট দেবেন তাদের ভোট আমি পেয়ে গেছি। আপনাদের ভোট কেন্দ্রে যাবার দরকার নেই। আপনাার কাজ কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। আমার লোকেরা আপনাদের ভোট ঠিক সময় মতো আমার বাক্সে ভরে দেবে। অযথা আপনাদের কষ্ট করার দরকার নেই। এছাড়া যেসব এলাকায় তিনি ভোট পাবেন না আশা করছেন সে সব এলাকায় শাহীন চাকলাদারের সশস্ত্র ক্যাডাররা অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও জয় অভিযোগ করেন।

অপরদিকে শাহীন চাকলাদারের পক্ষে সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম কামরুজ্জামান চুন্নু ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলী রেজা রাজু পৃথক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিপক্ষ প্রার্থী বিশেস করে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম রেজা দুলু ও তার দল বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। তাদের অভিযোগ বিএনপি এ উপজেলা পরিষদটি দখল করতে কালো টাকার পাশাপাশি পেশী শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করছে।

এদিকে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েক দফা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত এসব সাংবাদিক সম্মেলনে তরিকুল ইসলাম ও তার দল বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে বলেন, যশোর সদর উপজেলা পরিষদে পরাজয় নিশ্চিত জেনে শাহীন চাকলাদার ও তার দল আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছে।

দৌলতপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় এমপি’র ভাই ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসময় তাদের বেপরোয়া গুলিবর্ষণে আতুব্বর ম-ল (৫৫) নামে এক বিএনপি কর্মী আহত হন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউপি’র বৈরাগিরচর এলাকায় এ সহিংস ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ বিএনপি কর্মীকে রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা সাইদুর রহমান জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই টোকেন চৌধুরী, ছেলে কলিংস ও ঈগল বাহিনী প্রধান জাহিদসহ তাদের ২০-২৫ জন সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মী বাহিনী বৈরাগীর চর বাজারে বিএনপি’র নির্বাচনী অফিসে অতর্কিত হামলা চালায় এবং বেপারোয়ভাবে গুলিবর্ষণ করে। এসময় বিএনপি কর্মী আতুব্বর ম-ল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৌলতপুর থানা পুলিশ গুলিবিদ্ধ আতুব্বর ম-লকে প্রথমে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

গজারিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করা হয়। গতকাল দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গজারিয়া উপজেলার ফেরিঘাট সংলগ্ন সোনালী মার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও রেফায়েত উল্লাহ খান তোতার দু’গ্রুপ সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মুহাম্মদ ইসলাম জয় (২২), মো. স্বপন (২৫), শাহীন মিয়া (২৭), অহিদ ইসলাম (৩০), মো. সুমন (২৭), কালাম দর্জি (৪৫), মো. রায়হান (২২), মো. মিন্টু (১৮), ফারুক হোসেন (২৭) ও মো. আরমানকে (২৮) ঢাকা মেডিকেল ও ভবেরচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন-অর-রশিদ জানান, পুলিশ ও র‌্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাচনে ১৯দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী শাহাদৎ মৃধার নির্বাচনী অফিসে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা-ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থক ১০-১২টি মোটরসাইকেলে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিয়ে অতর্কিতে বনানী নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিসে উপস্থিত কর্মীদের মারধর করে এবং অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। একই সময় চরপারাস্থ নির্বাচনী অফিসেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রলীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মিঠাখালী গ্রামের ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নূরুন্নবী ঘরামীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই পক্ষে ১২ জন আহত হয় ও ৭টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী সমর্থক ১০ জন ও বিএনপি সমর্থক ১ জন।

ওদিকে পিরোজপুরের থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেনের বাড়িতে তল্লাশির নামে ঘরের মালামাল ভাঙচুর ও তছনছ করেছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীকে সহায়তা করতে পুলিশ প্রতি রাতে সদরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল এ অভিযোগ করেন।

দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারার হুমকি দিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুর আলমের সমর্থক ও উপজেলার লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন। গতকাল জুমার নামাজের পর লেমশীখালী ইউনিয়নের হলারাপাড়া এলাকায় গণসংযোগকালে জামায়াত প্রার্থী আসম শাহরিয়ার চৌধুরীর সমর্থকরাদের উদ্দেশে তিনি এ হুমকি দেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন।

শাহরিয়ার চৌধুরীর নির্বাচনী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, তারা লেমশীখালীর হলারাপাড়ায় শাহরিয়ার চৌধুরীর পক্ষে গণসংযোগ করতে গেলে চেয়ারম্যান আকতারের নেতৃত্বে মঞ্জুর আলম সমর্থকরা তাদের বাধা দেন। এর প্রতিবাদ করলে তাদের কয়েকজনকে মারধর করে চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা। আকতার হোসেন বলেন, আমার এলাকার সব ভোট আমি নিজের ইচ্ছেমতো সিল মেরে নেবো আমার প্রার্থীর জন্য। বিষয়টি তাৎক্ষণিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন আসম শাহরিয়ার চৌধুরী।

যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন। তিনি বলেন, কুদুবদিয়ায় বহিরাগত ক্যাডার গিজগিজ করছে। তাদের উৎপাত দেখে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি তাদের সংযত হতে বলেছেন। তবে এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুর আলম।

ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচনে ৮টি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির আশঙ্কা করছে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা। এবিষয়ে রিটার্নিং অফিসার ও টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা ৮টি ভোট কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ফলাফল ভিন্নখাতে প্রবাহের আশঙ্কা করছেন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো হচ্ছে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের গোবিন্দাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, খানুর বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাবসারা ইউনিয়নের চরচন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়পুর পুংলী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অলোয়া ইউনিয়নের আনার খাঁ পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , অর্জুনা ইউনিয়নের রামাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ফলদা ইউনিয়নের ফলদা রাম সুন্দর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সেনাসদস্যসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের অনুরোধ জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং অফিসার ও টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ বলেন, কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তজুমদ্দিন ও মনপুরা উপজেলা নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকি আছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কেন্দ্রে যাওয়ার নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে দৌলতখান উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের শক্ত দুই প্রার্থী থাকায় সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দৌলতখান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরীর অভিযোগ করেন- হামলা মামলা দিয়ে তার কর্মী-সমর্থক ও এজেন্টদেরকে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে। গতকাল নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী মানুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী বলেন, দৌলতখান উপজেলায় নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। ৪২টি কেন্দ্রের সব কয়টিকেই চরম ঝুকিপূর্ণ। তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল আচরণ বিধি লংঘন করে এসব কাজ করছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংসদ মুকুল বলেন, মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরী উল্টাপাল্টা অভিযোগ করছেন। (মানবজমিন)