শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ॥ দ্রুত ভোটার তালিকা মুদ্রণের নির্দেশ ইসির

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ॥ দ্রুত ভোটার তালিকা মুদ্রণের নির্দেশ ইসির

শেয়ার করুন

স্ট্রাফ রিােপার্টার ॥ বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনের জন্য আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান হালনাগাদ কার্যক্রম শেষেই দ্রুত ভোটার তালিকা মুদ্রণ করা হবে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১ জানুয়ারির পর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ যেসব নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে, তার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করার জন্য এখনই নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ওই সব নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা দ্রুত মুদ্রণ ও প্রার্থীদের জন্য ভোটার তালিকার সিডি (কমপেক্ট ডিস্ক) প্রণয়ন করতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালককে একটি নির্দেশনাও দিয়েছেন ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ ১ জানুয়ারি ২০১৫ এর পর যেসব উপজেলা, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বা উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন হবে, সে সমস্ত এলাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলেই দ্রুত তালিকা মুদ্রণ ও প্রার্থীদের জন্য সিডি প্রণয়ন করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুসারে ৩৪ এর উপধারা ১(খ) অনুযায়ী, নির্বাচিত সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। একটি নির্বাচিত সিটি করপোরেশনের মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী ৫ বছর।

সিসিসিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১০ সালের ১৭ জুন। আর প্রথম সভা হয়েছিলো ২৬ জুলাই। সে অনুযায়ী, এ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই। তাই আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচনও এ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে ইসিকে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, সিসিসি নির্বাচন জুলাইয়ের আগেই করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে এ নির্বাচন করবো। যদিও জানুয়ারির পর থেকেই নির্বাচন করা যাবে। কিন্তু বেশি আগে নির্বাচন হলে শপথ পড়ানো নিয়ে ঝামেলা হয়। কারণ শপথ পড়ালেই নির্বাচিত ব্যক্তি দায়িত্ব নিতে চায়। আবার আগের মেয়রের মেয়াদও শেষ হয় না। ফলে একই সিটিতে দুইটি নির্বাচিত মেয়র হয়ে যায়। তাই এসব বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে এমন সময় নির্বাচন করা হবে, যেন কেউ কোনো প্রশ্ন না তুলতে পারেন। এক্ষেত্রে জুনের মাঝামাঝি থেকে যদি রোজা শুরু হয়, তবে জুনের প্রথমেই নির্বাচন করা হবে।

২০১০ সালে সিসিসি নির্বাচনেই দেশে প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। সে সময় একটি ওয়ার্ডে ১৩০টি ইভিএম মেশিন ব্যবহার করে বেশ সাফল্য পেয়েছিলো এটিএম শামসুল হুদার বিগত নির্বাচন কমিশন।

তবে এবার আর এ সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের কোনো কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন শাহ নেওয়াজ।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৪ সিটি নির্বাচনের সময় রাজশাহী ও গাজীপুর সিটিতে এবং নরসিংদী পৌরসভা নির্বাচনের সময় ইভিএমে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছিলো। যে ত্রুটির সমাধান এখনো করা যায়নি। তাই সমস্যার সমাধান না পর্যন্ত আর কোনো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করবে না ইসি।

সূত্র আরো জানায়, আগামী ১৫ নভেম্বর ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হবে। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৩১ জানুয়ারি। তবে এর আগেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সিসিসির ভোটার তালিকা মুদ্রণ করা হবে।