জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী ॥
সাড়ে তিনবছর পর উৎপাদনে ফিরেছে উত্তরবঙ্গের প্রসিদ্ধ দারোয়ানী টেক্সটাইল মিল। মিলের চাকার সঙ্গে ঘুরছে তাঁতীদের ভাগ্যের চাকাও। সুতার অভাবেই এতদিন ‘চাপে’ ছিলেন ঐতিহ্যবাহী এ পেশাজীবীরা। এখন থেকে একবছরের মধ্যে এই মিলে উৎপাদিত মানসম্মত সুতা সরাসরি কিনতে পারবেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিল চত্বরে সুতা হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের মহা-ব্যবস্থাপক মোজাফ্ফর হোসেন।
অনুষ্ঠানে মিলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা সামসুল আলম শেখ, স্পিনিং মাস্টার আবুল হাশেম, কারিগরি বিভাগীয় প্রধান সবদার আলী, সিলভি জিনিং ফ্যাক্টরি প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব ও ক্রেতা পাবনা জেলার হাটুরিয়া নাকালিয়া ২নং ওয়ার্ড প্রাথমিক তাঁতী সমিতির সেক্রেটারি শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাঁতী সমিতির নেতা শাহ আলম ১ বেল সুতা নিয়ে যান পাবনায়।
মহা-ব্যবস্থাপক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুরের সিলভী জিনিং ফ্যাক্টরি সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে সুতা উৎপাদন শুরু করে। সাড়ে তিন বছর বন্ধ থাকার পর তিনশ জন শ্রমিক দিয়ে মিলের চাকা সচল করা হয়। মিলে গড়ে প্রতিদিন আট বেল করে সুতা উৎপাদন হচ্ছে।
সুতা ক্রেতা শাহ আলম বলেন, ‘আমরা তাঁতীরা সুতা পাচ্ছিলাম না। সরকারের কাছে বিভিন্ন সময় আবেদন করে আসছিলাম। এক পর্যায়ে সরকার দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের উৎপাদিত সুতা দিতে মিল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
মিলের মহা-ব্যবস্থাপক মোজাফ্ফর হোসেন আরও জানান, প্রসিদ্ধ দারোয়ানী টেক্সটাইল মিলের ঐতিহ্য এখনো অটুট রয়েছে। মিলের উৎপাদিত সুতা সারাদেশে সমাদৃত। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক মিলের উৎপাদিত সুতা আমরা সরাসরি তাঁতীদের কাছে বিক্রি করছি। সরকারি নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে আগামীতে তাঁতীদের কাছে সরাসরি সুতা বিক্রি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।