সোমবার , ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ , ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ , ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > ঘরের মাঠেই হারল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা

ঘরের মাঠেই হারল মেসিবিহীন আর্জেন্টিনা

শেয়ার করুন

স্পোর্টস ডেস্ক ॥

ঢাকা: কোপা আমেরিকা আর গত বিশ্বকাপের রানার্সআপ আর্জেন্টিনা ঘরের মাঠে রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে আতিথ্য দিয়েছিল ইকুয়েডরকে। মেসিবিহীন এ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারায় ইকুয়েডর।

৬৭ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বুয়েন্স আয়ার্সের মাঠে স্বাগতিক হিসেবে আর্জেন্টাইনদের প্রতিপক্ষ হিসেবে মাঠে নামে ইকুয়েডর। শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬ টায় মাঠে নামে দুই দল। ইকুয়েডরের হয়ে গোল করেন এরাজো এবং সাইসেদো।

এ ম্যাচে ছিলেন না আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগার ম্যাচে লা পালমাসের বিপক্ষে খেলার সময় বাম হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় মাঠের বাইরে রয়েছেন মেসি। জেরার্ডো টাটা মার্টিনো মেসিকে ছাড়া ৪-৩-৩ ফরমেশনে নিজের শিষ্যদের খেলাতে ম্যাচের শুরুর একাদশে মাঠে পাঠান রোমেরো, রোনকাগলিয়া, ইজিকুয়েল গ্যারে, অতামেন্ডি, মাস, বিগলিয়া, মাশচেরানো, জাভিয়ের পাস্তোরে, কোরেয়া, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া আর সার্জিও আগুয়েরো।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। অ্যাঞ্জেল কোরেয়ার কাছ থেকে বল পান পিএসজি তারকা অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তবে, প্রস্তুত ছিলেন ইকুয়েডরের চমক জাগানো গোলরক্ষক ডোমিনগুয়েজ। ১১ মিনেটে আক্রমণ শানে ইকুয়েডর। অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া আর্জেন্টাইন ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে বল বাড়িয়ে দেন মনতেরোকে। তবে, তার নেওয়া শটটি গোলবারের পাশে দিয়ে জালে জড়ায়।

ম্যাচের ২৪ মিনিটের মাথায় মাঠ ছেড়ে উঠে যান মেসির শূন্যস্থান পুষিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ দেওয়া সার্জিও আগুয়েরো। তবে, দলের শক্তি তাতে কমেনি স্বাগতিকদের। ম্যানসিটির তারকা স্ট্রাইকার আগুয়েরো বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে আরেকবার ভ্যালেন্সিয়া-মনতেরো জুটির দারুণ পারফর্ম দেখা যায়। আর্জেন্টাইন ডি-বক্সে প্রবেশ করে মাত্র ১৫ গজ দূর থেকে শট নেন ভ্যালেন্সিয়া। তবে, তার শটটি আকাশে উড়ে গেলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা। ৩৮ মিনিটের মাথায় আবারো ভ্যালেন্সিয়া-মনতেরোর জাদুতে আর্জেন্টাইন রক্ষণ কেঁপে উঠে।

প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল আদায় করে নিতে পারেনি। ফলে, গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর ৫৮ মিনিটের মাথায় ইকুয়েডরের তারকা সাইসেদোর একটি শট রুখে দেন আর্জেন্টাইন তারকা গোলরক্ষক রোমেরো।

ম্যাচের ৬৬ মিনিটে লিড নেওয়া সুযোগ আসে আর্জেন্টাইন শিবিরে। একবার নয় দুই-দুইবার সুযোগ পেয়েও ভাগ্যদেবী স্বাগতিকদের দিকে মুখ তুলে তাকাননি। কোরেয়ার থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের জাল লক্ষ্য করে শট নেন পাস্তোরে। তবে, ডোমিনগুয়েজের দারুণ পারফর্মে তা প্রতিহত হয়। অতিথি দলটির এই গোলরক্ষক এক মিনিট পরেই আবারো দলকে বাঁচান। ডি মারিয়ার জোরালো শট রুখে দেন তিনি।

৭০ মিনিটে পাস্তোরের বদলি হিসেবে আর্জেন্টাইন কোচ মার্টিনো মাঠে নামান ইজিকুয়েল লাভেজ্জিকে।

৭৬ মিনিটের মাথায় ইকুয়েডরের বিপদজনক এরিয়া থেকে ফ্রি-কিক লাভ করে আর্জেন্টিনা। বিগলিয়া ফ্রি-কিক থেকে শট নিলে তা আকাশে উড়ে যায়।

ম্যাচের ৮১ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে লজ্জা দিয়ে গোল করেন ইকুয়েডরের এরাজো। ক্যাস্টিলোর অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন তিনি। কর্ণার কিক থেকে উড়ে আসা বলে আনমার্কড এরাজো হেড করে গোলটি করেন। পরের মিনিটেই আরেকবার লজ্জায় পড়তে হয় স্বাগতিকদের। দলের ব্যবধান দ্বিগুন করতে ইকুয়েডরের হয়ে গোল করেন ফিলিপ সাইসেদো। অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়ার দারুণ এক পাস থেকে গোলটি করেন তিনি। ফলে, ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আতিথ্য নেওয়া দলটি।

ম্যাচের বাকিটা সময় আর্জেন্টিনা ব্যবধান কমানোর কোনো সুযোগ না পেলে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে।