শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > গ্যাস বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছে

গ্যাস বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ছে

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
রাজধানীসহ সারাদেশে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে। এ বিস্ফোরণের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধের পাশাপাশি মারা যাচ্ছে অনেকে। তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে অসচেতনতা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিম্নমানের গ্যাস সরঞ্জাম দিয়ে অবৈধ গ্যাস লাইন নেওয়ায় দুর্ঘটনা আশঙ্কা অনেক বেড়েগেছে। এছাড়া বোতলজাত এলপি গ্যাসের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের পুরনো বোতল হওয়ায় বিস্ফোরণ বা অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে।

সর্বশেষ গত কয়েকদিনে রাজধানীতে দুটি গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হন। রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় টিনসেটের একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের সাতজন দগ্ধ হন। আরেকটি ঘটনায় রাজধানীর মিরপুরে একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকা-ে মা-মেয়ে দগ্ধ হন। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তারা দগ্ধ হন।

আবাসিক খাতে পাইপলাইনের সংযোগেই গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটছে তা নয়, গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহতের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সরদারপুর গ্রামে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চার ভাই দগ্ধ হন। জানা যায়, সিলিন্ডারের সমস্যা হওয়ায় ওই পরিবারের সদস্য আবদুর রশিদ ঠিক করছিলেন। এ সময় হঠাৎই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে ওই পরিবারের চার জন দগ্ধ হন।
তিতাস গ্যাস কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মীর মশিউর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, মানুষের অসচেতনতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, মানুষ একটি ম্যাচের কাঠির জন্য ২৪ ঘণ্টা গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখেন। নিজেদের গ্যাস সংযোগটি ঠিক আছে কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করেন না। ফলে নানা সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সবার উচিত গ্যাস সংযোগটি নিয়মিত পরীক্ষা করা।

বিস্ফোরণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা আমাদের সময়কে বলেন, গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানুষের সচেতনতার ফল। বোতলজাত এলপি গ্যাস বিস্ফোরণের বলেন, গ্রাহক যে সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন সেটা মজবুত বা নতুন কিনা যাচাই করে নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সিলিন্ডার কোম্পানিরও দায়িত্ব আছে। তাদের উচিত পুরনো সিলিন্ডার ধ্বংস করে নতুন সিলিন্ডারে রিফিল করা। সিলিন্ডার গ্যাস বোতলের মেয়াদ শেষ হলে সেটা পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির হিসাব অনুযায়ী মোট গ্রাহক প্রায় ২০ লাখ ২৩ হাজার। এর মধ্যে আবাসিক বৈধ গ্রাহক ২০ লাখ ছয়শ। সঠিক হিসাব না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। এসব গ্রাহক দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বেসরকারি কোম্পানিগুলোর তথ্যমতে সারাদেশে বছরে প্রায় ৪ লাখ টন বোতলজাত এলপি গ্যাস ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ গ্রাহক সচেতন না থাকায় ব্যবহারকারীদের মাঝে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।