বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও গণবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সুজন (সুশাসনের জন্য নাগরিক)।
সোমবার সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহরের স্বপক্ষে বেশ কিছু যুক্তিও তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ও ফেরুয়ারি প্রথম সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বিইআরসিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দাম বাড়ানোর পক্ষে কোন যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে (ব্যারেল প্রতি মাত্র ৪০ ডলার) জনগণ দেশেও যখন দাম কমার আশা করছিল, ঠিক তখনই তার বিপরীত সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণকে হতাশ করেছে সরকার। সরকারের এ সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী।
এতে বলা হয়, গ্যাস ও বিদ্যুতের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রার প্রায় সবকিছুই জড়িত। তাই এ দুয়ের দাম বাড়লে জনজীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তথা জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে। গ্যাস খাতে সরকারকে কোনও ভর্তুকি দিতে হয় না এবং কোনো লোকসানও নেই। বরং গত পাঁচ বছরে পেট্রোবাংলা যেখানে ২০ হাজার ৮০ কোটি টাকা আয় করেছে,
সেখানে গৃহস্থালী কাজে এক বার্নার ও দুই বার্নার চুলায় এক লাফে দু শ’ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের প্রতি নিদারুণ অবিচার। সিএনজির দাম বেড়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সরাসরি গণপরিবহনের ওপর। এতে জনসাধারণের মাথাপিছু ভাড়া বেড়ে যাবে এবং পরিবহন খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কাও রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিদ্যুৎ খাতে সিস্টেম লসের নামে যে চুরি ও দুর্নীতি আছে তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। একই সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয় করলে মানুষের জীবনযাত্রার ওপর চাপ কিছু কমে আসত। কিন্তু জনমুখী সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিপরীত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ, সরকার গত ২৭ আগস্ট বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম যথাক্রমে ২.৯৩ শতাংশ ও ২৬.২৯ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। তবে সেচ ও লাইফ লাইন (৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী) বিদ্যুতের মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম