শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > রাজনীতি > ‘গোপন বৈঠক’, ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

‘গোপন বৈঠক’, ইউএনওকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগে ওই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আসলামকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

সূত্র জানায়, লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগে তাকে লোহাগাড়া থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইং এ সংযুক্ত করা হচ্ছে।

জানা গেছে, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী শনিবার (২৪ মার্চ) লোহাগাড়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগে ইউএনওর বিরুদ্ধে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবরে অভিযোগ করেন দলের মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খোরশেদ আলম উল্লেখ করেন-‘গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলাম তার সরকারি বাসভবনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক বাবুলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জিয়াউল হক বাবুল এলাকায় বলেন যে- ইউএনও সাহেবের সঙ্গে আমার সমঝোতা হয়ে গেছে। ভোট পাই আর না পাই আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’

সূত্র জানায়, মূলত ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলামকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘লোহাগাড়ার ইউএনও আবু আসলামকে প্রত্যাহার করার আদেশ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন এলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।’