বিনোদন ডেস্ক ॥
প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের প্রাক্তন স্ত্রী গুলতেকিন খান। হঠাৎ করে মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ভালোবেসে সংসার পাতা হুমায়ূন-গুলতেকিন দম্পতির। তারপর থেকেই একেবারে আড়ালে চলে যান গুলতেকিন।
সন্তানদের আকড়ে নিরবে নিভৃতে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। ভালোবেসে বাঁধা ঘর ভেঙে যাওয়ার দু:খ নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন অনেকগুলো শীত-বসন্ত। নিরবতা কাটিয়ে কয়েক বছর আগে তিনি আলোচনায় আসেন কবিতার বই লিখে। এরপর নিয়ম করে লেখালেখি করছেন তিনি।
তবে গতকাল বুধবার তিনি সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন বিয়ের খবর দিয়ে। জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। নতুন জীবন শুরু করায় প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন গুলতেকিন।
তবে সবার মনেই কৌতুহল মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন তার ছেলেমেয়েরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিয়েটা ছিলো সবার সম্মতিক্রমেই। গুলতেকিন তার সন্তানদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন নতুন করে জীবনটা শুরু করার জন্য।
একটি গণমাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খানের বড় ছেলে নুহাশ মায়ের বিয়ে নিয়ে নিজের মতামতও দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘মা শক্ত হাতে আমাদের বড় করেছেন। কখনো কোনো অভাব বুঝতে দেয়নি। মা সবসময়ই আমাদের কাছে আইডল। মা যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আমার কোনো দু:খবোধ ছিল না। বরং আমি অনেক খুশি হয়েছি।
আমি মায়ের সঙ্গেই ছিলাম এ ব্যাপারে। তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি। আমি নিজে থেকে মায়ের বিয়ে দিয়েছি। আর এটা লুকানোর কিছু নেই। সামনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও হবে। এটা নারীদের জন্য নতুন একটা দ্বার উম্মোচন হলো বলতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরের শেষের দিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেন গুলতেকিন। আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে ১০ বছর আগে। তাদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন।
অন্যদিকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে গুলতেকিনের বিচ্ছেদ হয় ২০০৩ এ। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর সাত বছর পর বিয়ে করলেন তিনি।