রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > গাড়িচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

গাড়িচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
সড়ক-মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ সবধরনের গাড়িচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে ক্যামেরা, লেজারসহ প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেন।

তিনি বলেন, এর ফলে সড়কে দুর্ঘটনা কমে যাবে। সাধারণ মানুষকে তিনি ট্রাফিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন।

শনিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতার চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার এবং লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

চালক ও পথচারীরা সড়কে নিয়ম মেনে না চলায় আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের মানুষের সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে তারা ট্রাফিক আইন মানেন না। দয়া করে আপনারা রাস্তার নিয়মগুলো মেনে চলবেন। তাহলে দুর্ঘটনা কমে যাবে। সড়ক দুর্ঘটনা হলে কার দোষে তা হয়েছে, তা সঠিকভাবে তদন্ত করে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

চালকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, তারা গাড়ি চালানোর সময় রাস্তায় একটা অশুভ প্রতিযোগিতা করে, এই অশুভ প্রতিযোগিতার ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। একটা গাড়ি পাস করে গেলে সেই গাড়ি ধরতে হবে! তিনি বলেন, একজন চালক যখন বাস বা ট্রাক চালায় তখন তাকে মনে রাখতে হবে, বাসে অনেক যাত্রী আছে, যাত্রীর জীবনটাও মূল্যবান, যে ড্রাইভার তারও জীবনের মূল্য আছে। সেটা তাদের মনে থাকে না।

চালক-হেলপারদের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি। হেলপারদের দিয়ে গাড়ি না চালানোর নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় চালকরা ক্লান্ত হয়ে হেলপারদের দেয় এটাও খুব অন্যায় কাজ। হেলপারদেরও লাইসেন্স আছে কি না সেটাও দেখতে হবে।

চালকদের যথাযথ বিশ্রাম ও খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাস-ট্রাক বা গাড়িচালক, তারা বিশ্রাম পেল কি না? তারা সময়মতো খাবার পাচ্ছে কি না এ বিষয়টিও দেখা উচিত। ড্রাইভারদেরও যে বিশ্রাম, খাবারে সময় প্রয়োজন এ বিষয়টি অনেকে খেয়াল করেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, এত দুর্ঘটনা, এত কিছু ঘটে তারপরও কেন যেন মানুষের ধৈর্যের খুব অভাব। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা পার হবে অথবা ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পার হবে সেটা কেউ করতে চান না।

পরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চারলেন ফ্লাইওভার এবং লতিফপুর রেলওয়ে ওভারপাস এলাকায় থাকা কর্মকর্তা ও উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় এলাকার ব্যাবসায়ী, স্টুডেন্ট, কুষ্ঠরোগী, মুক্তিযোদ্ধা ও জনপ্রতিনিধিরা কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এসব প্রকল্প উদ্বোধনে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।