স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুর: দীর্ঘ পাঁচ মাস পঁচিশ দিন কারাভোগের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন গাজীপুর মহানগর সদর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (গাসিক) ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূঁইয়া। তিনি টানা ৫ বার ওই ওয়ার্ডে জনগণের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসছেন। দলীয় সিদ্ধানের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে গাসিকের গত নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোর পরও বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
রেলে নাশকতার মামলায় গত বছর ১৫ ডিসেম্বর গ্রেফতার হন হাসান আজমল। তাঁর বাসায় রেলে নাশকতার পরিকল্পনা হয় মর্মে অভিযোগ আনা হয়। কারামুক্তির পর হাসান আজমল ভূইয়া বলেন, ‘মহান আল্লাহ যেমন চির সত্য তেমনি আমার বাড়িতে নাশকতার কোন মিটিং হয়নি এটিও তেমন সত্য’। পুলিশ তাঁর বাড়ির সিসি ক্যামেরা জব্দ ও আসামীদের (নেতাকর্মীদের) কললিস্ট সংগ্রহসহ কোনো তদন্তেই কথিত মিটিংয়ের কোন প্রমান পাবে না বলেও তাঁর দাবি। তিনি বলেন, একতরফা জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে জনমত তৈরি ও দেশ—বিদেশে সরকারের পক্ষে সিম্পেথি আদায়ের জন্যই অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তাঁর বাড়িতে রেলের নাশকতার মিটিং সাজানো হয়েছে।
এদিকে গত ৪ জুন কারমুক্তির পর চিকিৎসার জন্য হাসান আজমল ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে কারাগারে তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসা শেষে গাজীপুর নগরীর নিজ বাড়িতে ফিরলে তাঁকে দেখতে ও শান্তনা দিতে নেতা—কর্মীদের ভিড় জমে। মহানগর ও জেলা বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিদিনই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় তিনি সিক্ত।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে গাজীপুরের ভাওয়াল রেল স্টেশনের কাছে বনখড়িয়া নামক স্থানে ঢাকা—ময়মনসিংহ রেলপথে নাশকতার ঘটনা ঘটে। সেখানে রেললাইল কেটে ফেলায় একটি ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন যাত্রী মারা যান। ওই ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হন।