স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণাকালে বাধা, তার গাড়ি ভাংচুর, কর্মীদের মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতিকের জায়েদা খাতুন।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর তার ছয়দানাস্থ বাসভবন প্রাঙ্গনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী সাবেক মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের জায়েদা খাতুন বলেন, আমাদের উপর অন্যায়ভাবে হামলা করা হচ্ছে। আমার গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। ভোটাররা যেদ নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে জন্য ভোটরদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে আমাদের নেতাকর্মীরা যখন প্রচার-প্রচরণা করে তখন প্রতিটি নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন ভাবে কৌশলে বাধা দিচ্ছে। আজমতউল্লা তার নিজস্ব ও দলীয় কিছু সন্ত্রাসী লোক দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানী করছে। তিনি অভিযোগ করেন প্রশাসনের কিছু লোক আছে যারা এলাকা ভিত্তিক দায়িত্ব পালন করেন তারা আমার কর্মীদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে এবং মোবাইলে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেকের কাছে টাকাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারা বলছে জায়েদা খাতুনের টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোটটা না করতে পারে। তারা আজমতউল্লা খানকে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, আমাকে কৌশলে অ্যারেস্টের জন্য দুদকে ডাকা হয়েছে।
এটি করা হয়েছে যেন আমি মানুষের কাছে ভোট চাইতে না পারি। আমাদের লোকজন এখানে ভোট চাইতে না পারে। তারা কৌশলে আমাকে অ্যারেস্ট করার জন্য এবং আমার সময় নষ্ট করার জন্য কাজটি করেছে।
আপনারা দেখেছেন আমাকে গত ১৫ তারিখ দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমি যেন ২১ ও ২২ তারিখে দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকি, গাজীপুর থেকে গিয়ে বসে থাকি। দুদক একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান যেন ধ্বংস না হয়। আমার মায়ের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে বলতে চাই, আমাকে যেন দুদক আমার নির্বাচনের আগে হয়রানি না করে।
নগরীর কোন স্থানে পোস্টার লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার লাগালেও সেগুলো ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেন, আপনারা যদি সুষ্ঠু ভোট করতে না পারেন তবে সব প্রার্থীদের ডেকে বলেন আমরা প্রার্থীতা ছেড়ে দেই। আপনারা ভোটকে অসম্মান করবেন না। জনগণ যাকে ভোট দেবে রায়টা যেন তার পক্ষেই যায়।
তিনি বলেন, গত চার দিন ধরে টঙ্গীতে আজমতউল্লা তার নিজস্ব লোক দিয়ে আমাদের উপর হামলা ও নির্বাচনের প্রচারণায় বাধা প্রদান করছে। তারা আমাকে ও আমার মাকে হত্যা করতে চেয়েছে। আমাদের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের পক্ষে তার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।