স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম সিটি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সিটিতে রয়েছে ৫৭টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ১৯টি। এবারের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭জন, সাধারন ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫৬জন এবং সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে মোট ৮৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখ্য তিনটি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে একেকটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী গত ২৪ এপ্রিল থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। মাঝখানের হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ এবং পরে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের কারণে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১৮ জুন থেকে পুনরায় ২য় পর্যায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রচারণায় মেয়র ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রার্থীরাও সমান তালে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েন। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় যে পুরুষ প্রার্থীদের চেয়ে মহিলা প্রার্থীদের প্রায় তিনগুণ শ্রম ও সময় দিতে হচ্ছে। কারণ সাধারণ তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে একটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড গঠিত হওয়ায় মহিলা প্রার্থীদের বাড়তি শ্রম, সময় ও অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক মহিলা ভোটার থাকায় নির্বাচনে তারা বড় ধরনের ফ্যাক্টর হয়ে ওঠবেন। তাই মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি বাড়তি নজর দিচ্ছেন মহিলা ভোটার বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত বিপুল সংখ্যক নারী ভোটারদের প্রতি। তাই তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় এবং শ্লোগানে প্রাধান্য পাচ্ছে নারী অধিকারের বিষয়টি।
সংরক্ষিত ৫নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরা বেগম (চশমা মার্কা) জানান মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় পুরুষ কাউন্সিলর প্রার্থীর চেয়ে তাকে প্রায় তিনগুণ শ্রম ও সময় দিতে হচ্ছে। এই বাড়তি চাপ খুবই অসহনীয়। তবু উপায় নেই- যে ভাবে হোক ভেটাদের কাছে ভোট চাইতে যেতে হবে। এত পরিশ্রমে সত্যি হিমসিম খাচ্ছি। এর উপর আবার মহিলা ভোটারদের দিকে বেশী নজর দিতে হচ্ছে। নগরবাসীর সেবার করার লক্ষ্য নিয়েই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।
সংরক্ষিত ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী সালমা রহমান (হেলিকপ্টার মার্কাা) অনেকটা আক্ষেপের স্বরেই বললেন নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে আমাদের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। নির্বাচনী এলাকা অনেক বড়, ভোটারও অনেক বেশী। তবুও উপায় নেই ভোটারদের কাছে ঘুরতে হচ্ছে। তবু ভোটটি যদি পাই। আমার লক্ষ্য জনগণের সেবা করা।
অপর দিকে সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১২-এর কাউন্সিলর প্রার্থী রিনা হালিম (আনারস মার্কা) বলেন নির্বাচনে জিততে হলে পরিশ্রম তো করতেই হবে, ভোটারদের কাছে যেতে হবে। আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলা ভোটারদের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে কথা বলে ভোট চাইতে হচ্ছে। আশা করি মহিলা ভোটাররা আমাদের নিরাশ করবেন না। নির্বাচিত হলে আমি গতবারের ন্যায় এবারও জনসেবায় আত্মনিয়োগ করব।