শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > গ্যালারীর খবর > গাজীপুর সিটির নগর পিতা হলেন এম. এ মান্নান

গাজীপুর সিটির নগর পিতা হলেন এম. এ মান্নান

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবগঠিত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে নগর পিতা হলেন অধ্যাপক এম. এ মান্নান। তিনি ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী। এম. এ মান্নান টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে কেন্দ্র থেকে পাওয়া বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি টেলিভিশন প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৪ লাখ ৬৮ হাজার । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী অ্যাড. আজমত উল্লা খান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৩ লাখ ১২ হাজার। রাত দেড়টায় প্রাপ্ত এ ফলাফল। ওই সময় পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় কর্তৃক ২০২টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাতেও অধ্যাপক এম. এ মান্নান ভোটের ব্যবধানে অনেক এগিয়ে ছিল।
মেয়র পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল (হাঁস), আমান উল্লাহ (তালা), ডা. নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ঘোড়া) ও রিনা সুলতানা (প্রজাপতি)।
দু’টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত দেশের ১১তম এ সিটি কর্পোরেশন। এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৭ জন ও নারী ভোটার ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬২ জন।
দিনশেষে ৬০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ নির্বাচনে ৭ জন মেয়র, ১২৮ জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং ৪৫৬ জন সাধারণ আসনের কাউন্সিলরসহ মোট ৫৯১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৭টি ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড ১৯টি।
নির্বাচনে ৩৯২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলতার খবর শুনা যায়।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের কাজে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ ৭ হাজার ২৫৯ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে ৩৯২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ২ হাজার ২৮৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ৪ হাজার ৫৭৮ জন পোলিং কর্মকর্তা রয়েছেন।
নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২ প্লাটুন সদস্য, ৮৪৭ জন র‌্যাব ও আনসার সদস্যসহ ১১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।
যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড ও হেলিকপ্টার টহল ব্যবস্থা রাখা হয়। ভোটের পূর্বদিন থেকেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে অবস্থান নেন।