বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গত ৫ বছরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কোনো মিলও খুঁজে পায়নি নগরবাসী। গাজীপুর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর নগরবাসীর ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপলেও বাড়েনি নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। তবে এরই মধ্যে নগরের নতুন অভিভাবক নির্বাচনে প্রস্তুত হচ্ছে নগরবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলো। ১৫ মে প্রথম ভোট হবে দলীয় প্রতীকে। এবার ভোটার বেড়েছে এক লাখের বেশি।
অপরিচ্ছন্নতা, তীব্র যানজট, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ভাঙাচোরা সড়ক, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ সমস্যা আরো বেড়েছে। এরই মধ্যে নতুন সিটি মেয়র নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন গাজীপুর নগরবাসী।
দেশের নবীনতম সিটি করপোরেশন- গাজীপুর। ২০১৩ সালে গাজীপুর ও টঙ্গীর ৫৭ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয় দেশের সবচেয়ে বড় এ করপোরেশন। নগরবাসীর অভিযোগ, ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করলেও উন্নয়ন বঞ্চিত নগরবাসী। বেশিরভাগ সময় কার্যক্রম চলেছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিয়ে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, ৫ বছরে যে সব কাজ করা দরকার এলাকার উন্নয়নে, সে বিষয়ে এলাকাবাসী কারো সঙ্গে বসেনি। কীভাবে কী করবে সে বিষয়েও কোনও উদ্যোগ ছিল না। বছরের পর বছর টেক্স দিয়েছে মানুষ। প্রতি বছর এলাকার উন্নয়নে ১৫’শ কোটি টাকা বাজেট করেছে তবে তা এলাকার মানুষের কোনও কাজেই আসেনি।
১৫ মে’র নির্বাচনকে ঘিরে ভোট যুদ্ধে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোও। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে প্রার্থী যেই হোক তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছেন নগরবাসী। সূত্র : ইন্ডিপেনডেট টিভি