মুহা: রফিকুল ইসলাম
অতিথি প্রতিবেদক:
গাজীপুর জেলার প্রাচীন নিদর্শন গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভাওয়াল রাজবাড়ী যা প্রায় ৫ একর জায়গার উপর জয়দেবপুর মৌজায় অবস্থিত কিন্তু রাজবাড়ী এখন আর রাজবাড়ী নেই। রাজবাড়ীর মূল ফটকে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে সামনের সুন্দর ভবনটা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং বাকি সব ভবনগুলো জেলা জজ কোর্টের প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার হচ্ছে। এ রাজবাড়ীর পশ্চিম পাশে রয়েছে বিশাল একটি দিঘী; যাকে রাজদিঘী বলা হয়। ১৮৩৫ সালে সন্ন্যাসী রাজা রামেন্দ্রনারায়ণ এর পিতামহ জমিদার কালি নারায়ণ রায় চৌধুরী এটি খনন করেন। এরকম পুরাতন একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘীকে নিয়ে গাজীপুরবাসী গর্ব করলেও বাস্তবে এর চিত্র দেখলে যে কারোরই মন খারাপ হয়ে যাবে। অযতœ অবহেলায় দিন দিন হারাতে বসেছে দিঘীর পরিধি ও সৌন্দর্য।
গাজীপুর শহরবাসী ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী বিশাল এই দিঘীকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বিশেষ করে দিঘীর পাশ দিয়ে কবি গোবিন্দ দাস রাস্তাটি যখন ১০-১২ ফিট হতে ৩০/৩৫ ফুট করা হয়েছে। তখন দিঘীটির সৌন্দর্য যেমনি সবার নজরে আসে ঠিক তেমনি দিঘীটির অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়। অনেকের সাথে কথা বলে একটি বিষয়ে সুস্পষ্ট যে, সকলের একটাই দাবি সরকারি ব্যবস্থাপনায় দিঘীটিকে দেখভাল করা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার। অনেকেই দাবি করেন দিঘীটির চারপাশে হাঁটা চলার জন্য রাস্তা নির্মাণ, এর অস্তিত্ব রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য। ঝুলন্ত ব্রিজ ও করা যেতে পারে। সিভিল এভিয়েশনের সহকারি পরিচালক ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রশাসন ইচ্ছে করলে ভাওয়াল রাজদিঘীকে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা হাতে নিতে পারে, ভাওয়াল রাজবাড়ী সংলগ্ন ভাওয়াল রাজদীঘীকে কেন্দ্র করে ভাওয়াল রাজার ইতিহাস কৃষ্টি সংস্কৃতি ইত্যাদি তুলে ধরে ও রাজদিঘীকে সংস্কার করে আধুনিক ও নতুন রূপে নতুন একটি দর্শনীয় স্থান তৈরির মাধ্যমে গাজীপুর সিটিকে সারা বাংলাদেশের মধ্যে তুলে ধরতে পারে।