শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > শীর্ষ খবর > গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা

গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেন মোল্লা

শেয়ার করুন

শামসুল হুদা লিটন

গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব মো. মোতাহার হোসেন মোল্লা । তিনি ৩২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দলের বিদ্রোহীপ্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মোকসেদ আলম। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। মোকসেদ আলম পেয়েছেন ২৯৪ ভোট । ভোটের ব্যবধান ৩৫ ভোট।
মোতাহার হোসেন মোল্লাকে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জেলার ৫ টি উপজেলার ৫ টি কেন্দ্রে একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৬৩৬ জন।
ভোট পড়েছে ৬২৩ টি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ২০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্বি প্রার্থী না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ভোটারদের মধ্যে গাজীপুর সদরে মোট ভোটার ১৩২ জন,কালিয়াকৈর উপজেলায় ১৩১ জন, শ্রীপুরে ১২০ জন,কাপাসিয়ায় ১৪৬ জন এবং কালীগঞ্জে ১০৭ জন ভোটার ছিলেন।
বিভিন্ন উপজেলার (ওয়ার্ড) ভোট কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন মোল্লার নিজ উপজেলা কাপাসিয়া কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ১০৬ টি, এ কেন্দ্রে এস এম মোকসেদ আলম পেয়েছেন ৩৮ ভোট। কালিয়াকৈরে উপজেলায় মোতাহার মোল্লা ৮৭ ভোট, মোকসেদ আলম ৪২ ভোট, শ্রীপুর উপজেলায় মোতাহার হোসেন ৩৯ ভোট, মোকসেদ আলম ৬৯ ভোট, গাজীপুর সদরে মোতাহার হোসেন ৫০ ভোট, মোকসেদ আলম ৭৬ ভোট এবং কালীগঞ্জ উপজেলা কেন্দ্রে মোতাহার মোল্লা ৩৭ ভোট এবং মোকসেদ আলম পেয়েছেন ৬৯ ভোট।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনিসুর রহমান জানান, নির্বাচনকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ জুডিশিয়াল স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
জেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক সহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।