রবিবার , ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > জাতীয় > গাজীপুরে ৩ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

গাজীপুরে ৩ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুরের ভাওয়ার মির্জাপুর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজ গেট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী গাজীপুর অফিসের ব্যবস্থাপক অজিত চন্দ্র দেব জানান, গত মঙ্গলবার ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজ গেট এলাকায় তিতাসের অবৈধ গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ প্রেক্ষিতে বুধবার উক্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ কিলোমিটার বিতরণ লাইনের উৎস বন্ধ করা হয় । ফলে কলেজ গেট এলাকাসহ পার্শ¦বর্তী পাইনশাইল, বহুরিয়াচালা, কেডিএস মোড় এলাকার প্রায় এক হাজার বাসার ৩ হাজারের অধিক অবৈধ চুলার লাইন বিচ্ছিন্ন হয় । এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত প্রায় ৫০০ ফুট পাইপ লাইন জব্দ করা হয়।

এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় একটি কারখানার পাইপ হতে এসব এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছিল। ইতিপূর্বেও একবার এসব এলাকার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এরপরও বিভিন্ন লোকজনকে প্রলোভন দেখিয়ে পাইনশাইল এলাকার আব্দুল করিম, বাবুল, এনায়েত হোসেন, স্বপন, লুৎফর, শাহজাহান ও মতি নামক এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে এসব অবৈধ লাইন সংযোগ দেন। প্রতারণার কৌশল হিসেবে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ছবি, ভোটার কার্ড ও জমির দলিল সংগ্রহ করে এসব অবৈধ লাইন বৈধ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অবৈধ লাইনে নি¤œমানের পাইপ ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করার কারণে বিভিন্ন সময় পাইপ লিকেজ হয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবারও এ ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডের পর পর অবৈধ সংযোগের সাথে জড়িতরা অভিযানের ভয়ে বিভিন্ন বাসা বাড়ীর সংযোগ খুলে ফেলেন।

এদিকে অভিযানের খবরে অবৈধ সংযোগ গ্রহণকারীরা গা-ঢাকা দেয়ায় কাউকে আটক বা জরিমানা করা যায়নি তবে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিতাসের ব্যবস্থাপক অজিত চন্দ্র দেব আরো জানান, প্রতিনিয়তই অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হচ্ছে। এতকিছুর পরও অবৈধ লাইন ব্যবহার থামানো যাচ্ছে না। তবে স্বল্প জনবল দিয়ে শুধুমাত্র তিতাসের একার পক্ষে এসব অবৈধ লাইন ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। প্রশাসনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

অভিযানের সময় তিতাসের ব্যবস্থাপক অজিত চন্দ্র দেব ছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম রাসেল, সহকারী প্রকৌশলী মির্জা শাহনেওয়াজ লতিফ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাবিনুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, আসাদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।