শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

গাজীপুরে শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

শেয়ার করুন

মিনহাজ ॥
গাজীপুর শহরের একটি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। ওই ছাত্র গত ২৮ নভেম্বর সোমবার অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মামলা {নং-১৮৯, তাং ৩০/১১/২০১৬, ধারা: ৩৭৭/১০৯) দায়ের করা হয়েছে। ওইরাতে পুলিশ ওই বিদ্যালয়ের পরিচালক শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
ওইশিশুটির মা মামলার বাদী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর গ্রামের এক প্রবাসীর ছেলেকে গত বছর গাজীপুর কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ রোড এলাকার শহীদ ক্যাডেট একাডেমিতে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরে তাকে বিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে রাখা হয়। ২২ নভেম্বর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবাসিকের এক ধর্মীয় শিক্ষক সোহেল হোসেন শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকার শুনে ভবনে থাকা নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে উত্তম মাধ্যম দেয়। পরদিন বিদ্যালয়ের পরিচালক শহীদুল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীকে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য নানা ভয়ভীতি দেখায়। গত ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর ভুক্তভোগী শিশুটি তার অভিভাবকের সাথে বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং আর স্কুলে যাবে না। এ বিষয়ে শিশুটি প্রথমে চেপে গেলেও পরে তার মা অসুস্থতার কারণ জানতে চাইলে এক পর্যায়ে এ ঘটনাটি খুলে বলে।
পরে সোমবার তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে সে চিকিৎসাধীন।
এদিকে শিশুটির ফুপুও ফুপা শহরের মধ্যছায়াবিথী এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা শহীদ ক্যাডেট একাডেমীর পরিচালক শহীদুল ইসলামের নিকট অভিযোগ করেন। শিশুটির আত্মীয়-স্বজন শহীদুলের বরাত দিয়ে জানান, অভিযোগের পূর্বেই অভিযুক্ত শিক্ষককে বিচার করে ওই বিদালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা এলাকায়।
গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে শহীদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি শিশুটিকে ভয়ভীতি দেখাইনি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে বিচার করে একাডেমি থেকে বের করে দিয়েছি।
জয়দেবপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পরিমল বিশ্বাস বলেন, মামলা দায়েরের পর গত রাতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শহীদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে।