শনিবার , ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ , ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ , ১৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

হোম > Uncategorized > গাজীপুরে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের জুয়ার আসরে পুলিশী অভিযান ॥ গ্রেফতার ১

গাজীপুরে মুক্তিযোদ্ধা ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের জুয়ার আসরে পুলিশী অভিযান ॥ গ্রেফতার ১

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ওয়েল ফেয়ার ক্লাব (নিবন্ধন নং- ৯৭/২০১১) নামে একটি সংগঠনের জুয়া খেলার আসর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করে এবং এর পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় জয়দেবপুর থানায় জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের ডেপুটি কালেকটর নেজারত সাজিদ আনোয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সঞ্জিত কুমার রায়, জয়দেবপুর থানায় ওসি (তদন্ত) জাহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে জয়দেবপুর থানা পুলিশ জুয়ার আসরে অভিযান চালায়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের জুয়া খেলার সামগ্রী জব্দ করা হয় এবং জুয়া খেলার পরিচালক জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে গাজীপুর আদালত থেকে জানিনে মুক্তি পায় জসিম উদ্দিন।
মুক্তিযোদ্ধা ওয়েল ফেয়ার ক্লাবের নামে প্রায় বছর খানেক সময় ধরে ওই স্থানে বড় ধরণের এ জুয়া খেলার বোর্ড বসায়। ওই ক্লাবের পাশের জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে ওই ক্লাবের নামে একটি বড় আকারের ছাপড়া ঘর তৈরি করে সেখানে হাউজি, ওয়ান টেন, ওয়ান এইট, চরকি, ডাইস, হাতি ঘোড়া, পটসহ বিভিন্ন ধরণের জুয়া খেলা চালায়। প্রতিরাতে এখানে কম করে হলেও লাখ দশেক টাকার খেলা হয়।
গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ওই স্থানে পূণ:রায় এ খেলা চালা করা হয়েছিল। এর পূর্বে চলতি বছরের জুন ও মার্চ মাসে এ খেলা পুলিশী অভিযান চলানো হয়েছিল। তাতে কয়েক দিন সাময়িক বন্ধ রাখার পর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে ম্যানেজ করে পূণ:রায় চালু করা হয়। এবার হয়তো আবারও চালু করার অপেক্ষায় আছে। এ খেলার সাথে জড়িয়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সকল বিভাগ, প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতা, কতিপয় সাংবাদিক।
একটি সূত্র জানায়, জুয়া খেলা পূণ:রায় চালু করতে হলে সকল বিভাগের লোকজনদের প্যামেন (ঘুষ) দিতে হয় প্রতি রাতে কম করে হলেও প্রায় দু’লাখ টাকা।
কখনো জসিম নিজে আর না হয় তার বিশ্বস্থ প্রতিনিধি আলম এ প্যামেন-এর কাজটি করে থাকেন। কোন স্থানে প্যামেন ঠিক ঠাক মত না পৌঁছিলে পুলিশ বিভাগের স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিংবা জেলা প্রশাসনের বড় কর্মকর্তাদের বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে চাপ প্রয়োগ করানো হয়। তখন চলে অভিযান। এভাবে কিছু দিন থেমে থেমে এ খেলা পরিচালনা আসছেন স্থানীয় জসিম উদ্দিন নামের ব্যক্তিটি।
এ খেলার আড়ালে গোপনে বিভিন্ন নেশা জাতিয় দ্রব্য খাওয়া ও বেচা-কেনা হচ্ছে। রাতে মাইকের শব্দে আসপাশের বাসা-বাড়ির স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং ঘুমন্ত মানুষের বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া এলাকায় চুরি-ছিনতাইসহ নানা অঘটন ঘটে চলেছে।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি, জুয়ার আসরটি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার।